পাঁচ বছরের শিশুর পেট থেকে বের করে আনা হল আট ফুটের রড

কান্না শুনে ছুটে আসে বাবা সুরাঙ্গ রাওয়াত ও মা সহ বাকি কর্মচারীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখে শিউরে ওঠে বাবা মা।

কান্না শুনে ছুটে আসে বাবা সুরাঙ্গ রাওয়াত ও মা সহ বাকি কর্মচারীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখে শিউরে ওঠে বাবা মা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পাঁচ বছরের শিশু কন্যার পেট থেকে বের করা হল আট ফিটের লোহার রড। সুরাটের নিউ সিভিল হাসপাতালে পাঁচ ডাক্তারের চেষ্টায় সফল হয় কঠিন অস্ত্রোপচার। বিল্ডিং তৈরির কাজে ব্যস্ত ছিলেন শিশুটির মা শর্মিলা রাওয়াত। বাড়ির দোতলায় খেলছিল তার মেয়ে। শুক্রবার নির্মীয়মান ওই বাড়ি থেকেই পড়ে যায় শিশুটি। চিকিৎসক সূত্রে খবর, টানা দু-ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে রডটি বার করা সম্ভব হয়েছে।

Advertisment

কাজের চাপে খেয়াল ছিল না মেয়ের প্রতি। খেলতে খেলতে একেবারে ধারে পৌঁছে যায় শিশুটি। পাঁচিল না থাকায়, সেখান থেকেই নীচে পড়ে যায় সে। জড়ো করে রাখা রডে ওপর পড়লে, তলপেটের এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে ঢুকে যায় রডটি। কান্না শুনে ছুটে আসে বাবা সুরাঙ্গ রাওয়াত ও মা সহ বাকি শ্রমিকরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখে শিউরে ওঠেন বাবা মা। বাকি কর্মচারীরা মাটির ভিতর থেকে রড কেটে সেই রড সমেত শিশুটিকে নিয়ে যান হাসপাতালে।

আরও পড়ুন: মাদকাসক্তি কাটাতে হাসি-খেলা-গান উদযাপনের পরামর্শ কলকাতা পুলিশের

স্থানীয় বাসিন্দারাও ঘটনাস্থলে জমায়েত হযন। নতুন সিভিল হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ ময়ূর জারাকের পরামর্শে শ্রমিকরা অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

Advertisment

ডাঃ কাঞ্চালের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার বিভাগের তিন সহকারী অধ্যাপক ডঃ জাসওয়ান্ত মানজা, ডঃ জিগনেশ প্যাটেল ও ডাঃ হার্দিক অস্তিক , অন্যাসথেশিয়া বিভাগের ডাঃ হেমঙ্গিনী প্যাটেলের সাহায্যে অপারেশন সফল হয়।

ডাঃ কাঞ্চাল বলেন, শিশুটিকে হাসপাতালে আনার পর তাঁর অবস্থা ছিল গুরুতর।

Read the full story in English