দু’বছর আগে নিয়ন্ত্রণ রেখায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল কেন্দ্র। যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে সামনে রেখে আজও বুক চিতিয়ে নিজের সরকারের সাফল্যের কাহিনী শোনায় মোদী বাহিনী। এবার মোদী সরকারের সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়েই সরব হলেন প্রাক্তন লেফট্যানেন্ট জেনারেল ডি এস হুদা।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ‘ওভারহাইপ’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন লেফট্যানেন্ট জেনারেল। শুধু তাই নয়, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে যেভাবে রাজনীতি করা হয়েছে, তারও সমালোচনা করেছেন তিনি। হুদা এও বলেছেন, ‘‘এটা ভাল হয়নি।’’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময় নর্দান সেনা কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন হুদা।
মিলিটারি লিটারেচার ফেস্টিভ্যালে একটি আলোচনাসভায় হুদা বলেছেন যে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে যে বাড়াবাড়ি রকমের প্রচার করা হয়েছে, তা মোটেও ভাল হয়নি। সামরিক পদক্ষেপকে রাজনীতির হাতিয়ার বানিয়ে যে ভাবে ভিডিও, ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে তা একেবারেই অনুচিত ছিল। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের রাজনীতিকরণ ভাল নয় বলেও মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন হুদা। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে এত বাড়াবাড়ি না করে, তা চুপিসারে করলে বরং ফল ভাল হত বলে পর্যালোচনা করেছেন হুদা। লোকসভা ভোটের আগে প্রাক্তন লেফট্যানেন্ট জেনারেলের এহেন সমালোচনায় স্বভাবতই যে চাপ বাড়াল গেরুয়াশিবিরের, তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন, ‘গণপিটুনি নয়, বুলন্দশহরের ঘটনা দুর্ঘটনা মাত্র’
এদিন হুদা আরও বলেছেন যে, উরির ঘটনার পর পাক বাহিনীকে যোগ্য জবাব যে দিতে হবে, সে নিয়ে আমাদের কারও কোনও সন্দেহ ছিল না। আমরা ভেবেছিলাম যে, উরিতে হামলার যোগ্য জবাব দিতে হবে পাকিস্তানকে। সেই মতো পরিকল্পনা চলছিল। আপনারা এটাকে বদলা নেওয়া বলতে পারেন। উরি হামলার পর চারদিক থেকে প্রশ্ন করা হচ্ছিল যে, আমরা কী করছি? এমনকি সেনা জওয়ানরাও যে এই প্রশ্ন করেছিলেন সেকথাও বলেছেন হুদা।
তিনি বলেছেন যে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জেরে পাকিস্তান ঘাবড়ে গিয়েছিল। পাক বাহিনীর কথোপকথন আমাদের রেডিওতে শোনা গিয়েছিল। পাক বাহিনী ভেবেছিল যে, আমরা এ ধরনের স্ট্রাইক ফের করতে পারি। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ফলে যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাকিস্তানে।
Read the full story in English