বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এযেন এক অপরুপ মেলবন্ধন। ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক দুপুর ১২টা। রাম লালার কপালে এসে পড়ল 'সূর্য তিলক'। মুহূর্তে বদলে গেল মন্দিরের পরিবেশ। দেখা গেল এক অনন্য ছায়া। আর এই দৃশ্য দেখে মন্ত্রমুগ্ধ দেশবাসী।
Advertisment
দেশজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে পবিত্র রামনবমী। প্রতিবছর রাম নবমী পালিত হলেও আজকের দিনটা ভক্তদের চোখ অযোধ্যার রামমন্দিরে। সকাল থেকেই ভক্তদের ঢল। প্রায় ৫০০ বছর পর রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠানের পর এটাই প্রথম রাম নবমী। গোটা দেশের নজর আজ অযোধ্যায়।
এদিন ঠিক দুপুর ১২.০১ মিনিটে 'সূর্য অভিষেক' শুরু হয়। যা চলে প্রায় ৫ মিনিট। আইআইটি রুরকির বিজ্ঞানীরা সূর্য তিলকের জন্য একটি বিশেষ অপটো-মেকানিক্যাল সিস্টেম তৈরি করেছেন।
দুপুর ১২টার একটু আগে মন্দিরের উপরের তলায় ইনস্টল করা একটি আয়নায় সূর্যের আলো পড়লে তা ঠিক ৯০ ডিগ্রিতে একটি পাইপের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে এসে রামলালার কপালে এসে পড়ে। সূর্যের প্রথম রশ্মি রামলালার মাথায় পৌঁছতেই মন্দিরের পরিবেশ বদলে যায়। ভক্তিতে মগ্ন হয়ে ওঠেন ভক্তরা। ভগবান রামের আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চলে পূজা-অর্চনা। সূর্য তিলকের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রাম নবমী উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল দুপুর ১২টায় সূর্যের রশ্মিকে বিশেষ পদ্ধতিতে কাজে লাগিয়ে রাম লালার কপালে একটি তিলক আঁকা হয়। এই সূর্য তিলকের মাপ ৭৫ মিমি। শ্রী রামচন্দ্র সূর্যবংশে জন্ম নেন। পরবর্তীকালে রাজা রঘুর নামানুসারে রঘুবংশ নামেও পরিচিত ছিলেন দশরথের বংশধরেররা। আর সেই কারণেই রামনবমীতে রামলালার কপালে বিশেষ সূর্যতিলকের মাহাত্ম্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ভিড় করে আসেন।
এ সময় বিপুল সংখ্যক ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শঙ্খের আওয়াজ, মন্ত্র উচ্চারণ এবং পুরোহিতদের উপস্থিতি সূর্য তিলকের অনুষ্ঠানটিকে আরও দর্শনীয় করে তুলেছিল। অন্যদিকে, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। এর আগে, শ্রী রাম জন্মভূমির প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস জানিয়েছিলেন যে সূর্যের তিলকের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞানীরা যেভাবে চেষ্টা করেছেন তা খুবই প্রশংসনীয় এবং অত্যন্ত আশ্চর্যজনক। 'সূর্য তিলক' প্রায় পাঁচ মিনিট স্থায়ী হয়েছে এবং অনুষ্ঠানটি অযোধ্যা জুড়ে প্রায় ১০০ টি জায়গায় স্থাপন করা বড় এলইডি স্ক্রিনে দেখানো হয়েছে।