সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়। এই মামলায় হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখতে শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর্থিক তছরুপ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে চাইছে ইডি। জানা গিয়েছে, বিহার পুলিশের কাছ থেকে সুশান্তের পরিবারের তরফে দায়ের করা এফআইআর-এর কপি চেয়ে পাঠিয়েছে ইডি। প্রয়োজনে আর্থিক তছরুপ আইনে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা।
গত ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ উদ্ধার হয়। অভিনেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রহস্য ঘণীভূত হতে থাকে। নাম উঠে আসে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর। গত ২৫ জুলাই সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কেকে সিং রিয়া ও আরও পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পাটনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এফআইআর-এ ছেলের মৃত্যুর জন্য তাদের দায়ী করা হয়। এছাড়া, সুশান্তের অর্থ গায়েব করা হয়েছে বলে অভিযোগ অভিনেতার বাবার।
কেকে সিং-য়ের দায়ের করা এফআইআর-এ উল্লেখ, সুশান্তে সিং রাজপুতের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। যে অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ গিয়েছে তার সঙ্গে মৃতের কোনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে যোগাযোগ ছিল না। একই সঙ্গে ছেলেকে অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। সুশান্তের ডেঙ্গু হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীয় সেই দাবি মিথ্যা বলে দাবি সুশান্তের বাবার।
এই অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে আর্থিক তছরুপ সত্যিই হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
আইপিসি ৩০৬ ধারা (আত্মহত্যায় সহায়তা), ৩৪১ ধারা, ৩৪২ ধারা (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা), ৩৮০ ধারা (আবাসনে চুরি), ৪০৬ ধারা( অপরাধমূলকভাবে বিশ্বাস লঙ্ঘন), ৪২০ ধারায় (প্রতরণা) অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণার অপরাধ আর্থিক তছরুপ আইনের আওতাধীন বলে বিবেচিত। ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন