কানাডায় ভারতীয় পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে টরন্টো পুলিশ মঙ্গলবার এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গুলি করে খুন করেন ভারতীয় ওই পড়ুয়াকে। টরন্টোর একটি মেট্রো স্টেশনের বাইরে ভারতীয় ওই ছাত্রকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে খুন করা হয় গাজিয়াবাদের বাসিন্দা কার্তিক বাসুদেবকে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কার্তিকের মৃত্যু হয়েছে গুলি লেগে। শেরবোর্ন মেট্রো স্টেশনের বাইরে একাধিক গুলির আওয়াজ পাওয়া যায় সেদিন রাতে। কার্তিকের পরিবার শুক্রবার দুপুরে ছেলের মৃত্যুর খবর পান। কিন্তু কেন মারা হল কার্তিককে তা নিয়ে কোনও তথ্য জানা যায়নি।পুলিশ সূত্রে খবর ধৃত ওই ব্যক্তির নাম রিচার্ড জোনাথন এডউইন। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একটি খুনের অভিযোগ রয়েছে। টরন্টো পুলিশ এক সিনিয়ার আধিকারিক এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "গত বৃহস্পতিবার কার্তিক বাসুদেব একটি মেট্রো স্টেশনের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন ঠিক তখনই বিনা প্ররোচনায় ধৃত ব্যক্তি কার্তিককে লক্ষ করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়"। যদিও কেন কার্তিককেই কেন টার্গেট করা হল সেই নিয়ে পুলিশের তরফে কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: হাঁসখালি ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে আজই গ্রামে যেতে পারে সিবিআই
কার্তিকের বাবা জিতেশ বাসুদেব বলেছেন, “বৃহস্পতিবারই শেষবার ছেলের সঙ্গে কথা হয়। কার্তিক বলেছিল ও কাজে যাচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি একটি মেক্সিকান রেস্তোরাঁয় ও কাজ করত। কয়েক ঘণ্টা পর ওর ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়। ওঁর এক তুতো বোন একসঙ্গেই থাকত। সে-ই পুলিশকে খবর দেয়। এর পর নিউজ পোর্টালে খবর দেখে কার্তিকের মৃত্যুর খবর জানতে পারে।” সেই সঙ্গে তিনি এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কানাডিয়ান পুলিশের তরফে গ্রেফতারের ঘটনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু তিনি সেই সঙ্গে বলেন, কেন তাঁর সন্তানকে এভাবে খুন হতে হল সেটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিমধ্যেই কানাডিয়ান পুলিশের তরফে নিহত কার্তিকের পরিবারের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানান হয়েছে আগামী কার্তিকের শনিবারই মরদেহ গাজিয়াবাদে পৌঁছাবে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে এক টুইট বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
Read full story in English