সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী হামলায় শ্রীনগরে শহিদ দুই সিআরপিএফ জওয়ান। এই ঘটনায় দুই জওয়ান জখমও হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীনগরের লায়ায়পোড়া এলাকায় এই হামলা হয়েছে। টহলদারি সিআরপিএফ বাহিনীর ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালায় জঙ্গিরা।
এলাকা ঘিরে পাল্টা জবাব দিয়েছে যৌথ বাহিনী।
এদিকে, উপত্যকায় ফের সাফল্য নিরাপত্তা রক্ষীদের। দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে তুমুল গুলির লড়াইয়ের পর নিকেশ চার জঙ্গি। স্থানীয় চার বাসিন্দা ছয় মাসও হয়নি সন্ত্রাসী দলে নাম লিখিয়েছিল। রবিবার রাতে তাদের খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী। সোপিয়ানের মানিহাল গ্রামে এই এনকাউন্টারে এক সেনা জওয়ান জখম হয়েছেন বলে খবর।
জঙ্গিদের নিরস্ত্র করতে অভিনব পন্থা নেয় নিরাপত্তা রক্ষীরা। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, চার জঙ্গির একজনের স্ত্রী, দুই সন্তানকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। তাঁরা আত্মসমর্পণ করার আবেদন করলেও শোনেনি ওই জঙ্গি। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বছর পাঁচেকের শিশু তার বাবাকে কাতর আর্জি জানাচ্ছে, গোপন ডেরা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য।
কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণে রাজি না হওয়ায় চারজনকেই নিকেশ করা হয়েছে। একজন জঙ্গির স্ত্রীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় যাতে সে বেরিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু জঙ্গিরা গোপন আস্তানা থেকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। রবিবার রাতভর এবং সোমবারও এলাকা চারদিক থেকে ঘিরে রাখে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে তারা খবর পায় জঙ্গিদের গোপন আস্তানার।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত চার জঙ্গির নাম রায়েস আহমেদ ভাট, আকিব আহমেদ মালিক, আফতাব আহমেদ ওয়ানি এবং আমির শফি মীর। প্রথম তিন জন গত বছর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে জঙ্গিদলে ঢুকেছিল। মীর এক মাস আগে নাম লেখায়। প্রত্যেকেই লস্কর-এ-তইবার সদস্য। একজনের কাছ থেকে একে-৪৭ এবং বাকিদের কাছে পিস্তল পাওয়া গিয়েছে। যৌথবাহিনী গত ২১ জানুয়ারির পর থেকে উপত্যকায় ১৯ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে। ৯টির মধ্যে আটটি এনকাউন্টার দক্ষিণ কাশ্মীরে হয়েছে।