/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/02/bangladesh-plane-new-759.jpg)
সোমবার বাংলাদেশ পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে বাংলাদেশি ব্যক্তি রবিবার বিমান হাইজ্যাকের চেষ্টা চালিয়েছিলেন, তাঁর হাতে খেলনা পিস্তল ছিল। ছবি: টুইটার।
বাংলাদেশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। বন্দুকবাজের হাতে যে পিস্তল ছিল, তা আদতে খেলনা পিস্তল। এমন দাবিই করল বাংলাদেশ পুলিশ। ২৪ ঘণ্টা পর তদন্ত চালানোর পর পুলিশ বলল, ‘‘এটা খেলনা পিস্তল ছিল।’’
পিস্তল হাতে বিমানের মধ্যে এক ব্যক্তিকে দেখে আঁতকে উঠেছিলেন যাত্রীরা। বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালানো হচ্ছে, এ খবর জানতেই তড়িঘড়ি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয় বিমানটির। বিমানে বন্দুকবাজ রয়েছে, এ খবরে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয়ে যায় বিমানবন্দরে। সেই বন্দুকবাজকে পরে গুলি করে হত্যাও করা হয়। কিন্তু যার জন্য রবিবারের সন্ধ্যায় হিমশিম খেতে হয়েছিল পুলিস-প্রশাসনকে, সেই ব্যক্তি বন্দুকবাজ নয়, আদপে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি। এমন দাবিও করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, বাংলাদেশে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, মৃত কমপক্ষে ৮১
সোমবার বাংলাদেশ পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে বাংলাদেশি ব্যক্তি রবিবার বিমান হাইজ্যাকের চেষ্টা চালিয়েছিলেন, তাঁর হাতে খেলনা পিস্তল ছিল। ওই ব্যক্তির কাছে কোনও বিস্ফোরক ছিল না বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘‘আসলে ওটা খেলনা পিস্তল ছিল। ওঁর দেহে কোনও বোমা রাখা ছিল না। উনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে ওঁর কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল। এ নিয়ে উনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার দাবি জানিয়েছিলেন। যদিও এখনও আমরা এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছয়নি।’’
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধেয় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-দুবাইগামী বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে, এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মাঝপথেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বিমানটির জরুরি অবতরণ করা হয়। বিমানের ১৪২ জন যাত্রীকে নিরাপদে সরানো হয়। এরপরই গুলির লড়াই চলাকালীন নিহত হয় ওই ‘বন্দুকবাজ’।
Read the full story in English