পয়গম্বর হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে আসা বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন। তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা থাকায় নূপুর আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদন করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই তিনি আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখার অনুমতি পেলেন। গত বছরের মে মাসে, নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে মুম্বই এবং হায়দরাবাদে অভিযোগ দায়ের হয়। যেখানে অভিযোগ করা হয় যে, নূপুর শর্মা সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়িয়েছেন।
পয়গম্বর হজরত মহম্মদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। সংবাদমাধ্যমের এক বিতর্কসভায় নূপুর ওই মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্য পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যকে সমর্থন করায় দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র নবীনকুমার জিন্দলকেও সাসপেন্ড করে গেরুয়া শিবির। পরবর্তীতে, নূপুর শর্মা দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
আরও পড়ুন- ফের সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে সরব ধনখড়, কেন বারবার সংঘাত?
সেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছডা়নো হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। নূপুর শর্মা এই অভিযোগ জানানোর পরদিন দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল একটি এফআইআর গ্রহণ করে। এফআইআরে নূপুর শর্মাকে ভয় দেখানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন), ৫০৭ (পরিচয় গোপন রেখে অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৫০৯ (নারীর সম্ভ্রমহানি) ধারা দায়ের করা হয়।
তদন্ত চলাকালীন নূপুর ফের অভিযোগ করেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে একদল লোক ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এই সবের জেরে তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়ছে বলেই অভিযোগ করেন নূপুর। এর জেরে গত জুন মাসে দিল্লি পুলিশ নূপুর শর্মার জন্য বিশেষ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করে। নূপুর পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর মন্তব্যের জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁদেরও হয়রান করা হচ্ছে।
নূপুর শর্মার এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ ভীম সেনার প্রধান সতপাল তানওয়ারকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। পাশাপাশি, শর্মার বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতেই নূপুর শর্মা আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি চেয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। যা মঞ্জুর করা হয়েছে বলেই দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে।
Read full story in English