Advertisment

উন্নাওয়ের নিখোঁজ দলিত মহিলার দেহ উদ্ধার, এবার বরখাস্ত পুলিশ অফিসার

এই মামলায় গত ২৪ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত ফতে বাহাদুর সিংয়ের ছেলে রাজোল সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
suspended for laxity in probe unnao dalit womans body found near ashram

কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বরখাস্ত পুলিশ আধিকারিক।

দু'মাস আগে উন্নাওয়ের নিখোঁজ দলিত মহিলার দেহ উদ্ধার হল আশ্রমের পাশের জমি থেকে। ওই জমি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রীর ছেলের মালিকানাধীন। এই ঘটনার পরই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় স্টেশন হাউস অফিসারকে বহিষ্কার করেছে।

Advertisment

এই মামলায় গত ২৪ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা প্রয়াত ফতে বাহাদুর সিংয়ের ছেলে রাজোল সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে নিখোঁজ দলিত মহিলাকে অপহরণে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল।

এরপর গত ২৫ জানুয়ারি, নিখোঁজ মহিলার মা সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের গাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে অত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ও তদন্তে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন। সেই দাবি যে মিথ্যা ছিল না, তা এ দিন নিখোঁজ দলিত মহিলার দেহ উদ্ধারের পর স্থানীয় এসএইচও-কে বরখাস্তের ঘটনায় স্পষ্ট হচ্ছে।

উন্নাওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শশী শেখর সিং বলেছেন, '৮ ডিসেম্বর মহিলা নিখোঁজ হন। এরপর নিয়ম অনুসারে ১০ জানুয়ারি পুলিশে অভইযোগ দায়ের হয়। তদন্ত এগোচ্ছে, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতেই মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।'

আরও পড়ুন- হিজাব মামলা: ‘জাতীয় ইস্যু বানাবেন না’, জরুরি শুনানির আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

তদন্তে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার যে অভিযোগ মৃতের পরিবারের তরফে তোলা হয়েছিল সে সম্পর্কে উন্নাওয়ের এএসপি বলেছেন, 'এটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি হয় কারণ ওই মহিলা সাবালোক ছিলেন। পরে তদন্তকারী অফিসার সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন যে, অভিযুক্তরা হয়তো ওই মহিলার ক্ষতি করেথে, পুলিশ সে অনুযায়ী কাজ করে লাশ উদ্ধার করে। এ পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা ধৃতের সহযোগিদের খোঁজ করছি।'

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, মৃতার মা বলেছিলেন, 'আমার মেয়েকে রাজোল সিং তাঁর আশ্রমে হত্যা করেছিল এবং সেখানে পুঁতে দেয়। আমি আগে আশ্রমে গিয়েছিলাম। তিনতলা বাড়িটা ছাড়া পুরো চত্বরটা তাঁরা আমাদের দেখিয়েছিল। আমি একজন স্থানীয় পুলিশ অফিসারকে ফোন করেছিলাম, কিন্তু সে তাঁর ফোন বন্ধ করে দেয়। তিনি যদি আসতেন, তাহলে আমি আমার মেয়েকে জীবিত ফিরে পেতাম।'

Read story in English

uttar pradesh Unnao Uttar Pradesh Police
Advertisment