দিল্লির রাস্তায় নারকীয় হত্যা, বেপোরোয়া গাড়ির মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর। জানা গিয়েছে ধাক্কা দেওয়ার পর গাড়িটি বাইক আরোহীর দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় প্রায় তিন কিলোমিটার পথ। রাজধানীর কস্তুরবা গান্ধী মার্গ এবং টলস্টয় মার্গের সংযোগস্থলের ঘটনায় তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। ২৯ এবং ৩০ শে এপ্রিল মাঝরাতে ঘটে এই হাড়হিম ঘটনা। আর সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে যা দেখে শিউরে উঠেছেন সকলেই।
জানা গিয়েছে কটি এসইউভি গাড়ি বাইক আরোহী দুই ব্যক্তিকে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের পর বাইক আরোহী এক যুবক ছিটকে গিয়ে কয়েক হাত দূরে গিয়ে পড়েন। অন্যজন গিয়ে পড়েন ঘাতর গাড়ির ছাদে। জানা গিয়েছে তাদের মধ্যে এক জনের নাম মুকুল (২০)এবং অন্যজন দীপাংশু ভার্মা (৩০)। এরপর গাড়িটি দীপাংশুর দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ পথ।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী, মহম্মদ বিলাল, তার স্কুটারে করে গাড়িটি অনুসরণ করেন এবং গাড়ির ছাদে পড়ে থাকা দীপাংশুর একটি ভিডিও তোলেন। যা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তিনি দাবি করেন, হর্ণ বাজিয়ে ও চিৎকার করে চালককে বারবার সতর্ক করার অনেক চেষ্টা করলেও চালক গাড়ি থামাননি। প্রায় তিন কিলোমিটার বেপোরোয়া গাড়ি চালিয়ে দীপাংশুর দেহটি ইন্ডিয়াগেটের কাছে ফেলে রেখে চম্পট দেয় ঘাতক গাড়িটি। ঘটনার জেরে গুরুতর আহত হয়েছেন দীপাংশুর ভাই মুকুল।
বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে দীপাংশু একটি গহনার দোকান চালাতেন এবং পরিবারের একমাত্র ছেলে ছিলেন তিনি। বাড়িতে রয়েছে মা-বাবা ও এক বোন। দিল্লির সুলতানপুরী থেকে কানঝাওয়ালা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ টেনে হিঁচড়ে অঞ্জলি সিং নামে এক বছর ২০-এর তরুণীর হিট-এন্ড-রানের কয়েক মাস পরে এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত দিল্লিবাসী।
দিল্লি পুলিশ এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেছে। হরনীত সঙ্ঘ চাওলা নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে তার সঙ্গে গাড়িতে ছিল তার গোটা পরিবার।