ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশকে স্বচ্ছ করতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে বরাবরই সোচ্চার মোদি। মোদির স্বচ্ছ ভারতের উদ্যোগ প্রশংসিতও হয়েছে বিভিন্ন মহলে। গ্রামে গ্রামে শৌচাগার তৈরিসহ স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে বিভিন্ন কাজ হয়েছে। দেশকে স্বচ্ছ করতে মোটা অঙ্কের টাকাও খরচ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, গত ৩ বছরে এই টাকার অঙ্ক বেড়েছে বৈ কমেনি। সম্প্রতি হাউজিং ও আর্বান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের তরফ থেকে খরচের খতিয়ান তুলে ধরে তথ্য পেশ করা হয়েছে। যাতে দেখা গেছে, যে গত ৩ বছরে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে মোট ৫ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
২০১৫-১৬ সালে কেন্দ্রের তরফে যে তহবিল দেওয়া হয়েছিল তার অঙ্কটা ছিল ১ হাজার ৭৬ কোটি টাকা। যা পরের অর্থবর্ষে বেড়ে হয় ২ হাজার ৩৭ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ সালে ২ হাজার ২৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে টাকার অঙ্কের থেকেও সরকারের হিসেবে নজর কেড়েছে অন্য একটি দিক। গত ৩ বছরের হিসেবে দেখা গেছে, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিই সবথেকে বেশি টাকা পেয়েছে।
গত ৩ বছরের হিসেবে হাউজিং ও আর্বান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের পেশ করা তথ্যে সবথেকে বেশি তহবিল পাওয়া রাজ্যের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। শিবরাজ সিং চৌহানের রাজ্য পেয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে প্রায় ৫৮০ কোটি টাকা তহবিল পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা পেয়েছে যোগীরাজ্য। ৫৩৩ কোটি টাকার তহবিল পেয়ে তালিকায় ৩ নম্বরে রয়েছে বসুন্ধরা সিং রাজের রাজস্থান। তালিকায় এর পরেই নাম রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাত ও অন্ধ্রপ্রদেশের। অন্যদিকে ২০১৭-১৮ সালে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশকেই দেওয়া হয়েছিল ৪৯৭.৭ কোটি টাকা, যা ছিল সর্বোচ্চ। ২০১৫-১৬ সালে উত্তরপ্রদেশকে ৮২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০১৬-১৭ সালে কোনও তহবিল পায়নি যোগীর রাজ্য।
অন্যদিকে গত ৩ বছরে স্বচ্ছ ভারত অভিযান ও নগরোন্নয়নের জন্য কম পরিমাণ আর্থিক তহবিল পাওয়া রাজ্যের তালিকায় রয়েছে বিহার, কর্নাটক, তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও কেরালা। গত ৩ বছরে নীতীশ কুমারের রাজ্য পেয়েছে ১৮৫ কোটি টাকার তহবিল। ১৬৬.৯ কোটি টাকার তহবিল পেয়েছে কর্নাটক। তেলেঙ্গানা পেয়েছে ১৪৭.৭ কোটি টাকার তহবিল। হরিয়ানা ও পাঞ্জাব পেয়েছে যথাক্রমে ৯৯ কোটি টাকা ও ৬৫.৫ কোটি টাকা। কেরালা পেয়েছে ২৪.৪ কোটি টাকার তহবিল।
হাউজিং ও আর্বান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ৬৬.৪২ লক্ষ শৌচাগারের মধ্যে ৪৬.৩৬ লক্ষ শৌচাগার বানানো হয়েছে। ৫.০৭ লক্ষ সুলভ শৌচাগারের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ লাখেরও বেশি বানানো হয়েছে। অন্যদিকে ১ হাজার ৯৫০টিরও বেশি শহরকে নির্মল শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।