Uttar Pradesh: উত্তর প্রদেশজুড়ে কোনটা চান আখের মিষ্টতা না জিন্না অনুগামীদের দুর্বৃত্তায়ন? এই প্রশ্নের উত্তর দেশবাসীর হাতে ছাড়লেন যোগী আদিত্যনাথ। বৃহস্পতিবার নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্যজুড়ে চলা উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে যোগী বলেন, ‘কিছু মানুষ রাজ্যের আখ অধ্যুষিত অঞ্চলে (পশ্চিম উত্তর প্রদেশ) দাঙ্গা বাঁধিয়ে তিক্ততা ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এবার দেশের মানুষ ঠিক করবে তাঁরা আখের মিষ্টতা চান, না জিন্না অনুগামীদের দুর্বৃত্তায়ন?’
এই মন্তব্য করে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে নাম না করে আক্রমণ করেন আদিত্যনাথ। এমনটাই বিজেপি সূত্রে খবর। সম্প্রতি জিন্না, নেহেরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে এবং মহাত্মা গান্ধিকে একসারিতে রেখে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অখিলেশ যাদব। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে এঁদের প্রত্যেকের ভূমিকা রয়েছে। এমন দাবি করেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান। তারপর থেকেই গেরুয়া শিবিরের আক্রমণের মুখে অখিলেশ।
এদিন গৌতমবুদ্ধ জেলার জেওয়ারে এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করছে স্যুইস একটি সংস্থা। সেই বিমানবন্দরের ভিত্তি প্রস্থর উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এদিকে, উত্তরপ্রদেশের জেওয়ারে বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার নয়ডা এয়ারপোর্টের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মোদী হলেন, এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে উত্তর ভারতের পরিবহণ দ্বার। এবং প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে হাজার হাজার মানুষের। স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কর্মসংস্থানের জন্য।
৫ হাজার একর এলাকা জুড়ে এই এয়ারপোর্ট তৈরি হচ্ছে। জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই এয়ারপোর্ট তৈরি করছে। বানাতে খরচ পড়বে প্রায় ২৯ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। সুইস এয়ারপোর্ট সংস্থা গত ২০১৯ সালের নভেম্বরে দরপত্র হেঁকে কাজের দায়িত্ব পায়। রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এটি তৈরি হবে। এটি নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে নয়ডা এয়ারপোর্টই হবে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিমানবন্দর।
এদিন শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, “২০ বছর আগে তৎকালীন বিজেপি সরকার এখানে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু এতদিন লখনউ আর দিল্লিতে বসে সরকারের মধ্যে সংঘাতের কারণে এটা সম্ভব হয়নি। এমনকী এর আগের রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার জন্য চিঠি লিখেছিল। কিন্তু এবার আমরা ভূমিপুজোর সাক্ষী থাকলাম।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন