/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/09/geelani.jpg)
বুধবার রাতে নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হন উপত্যকার এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা
প্রয়াত হয়েছেন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থায় কাবু ছিলেন তিনি। বুধবার রাতে নিজের বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। কাশ্মীরের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি থেকে শুরু করে পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজ্জাদ লোন। গিলানির প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গৃহবন্দি ছিলেন গিলানি। প্রাক্তন এই বিধায়কের শেষযাত্রা ঘিরে উপত্যকায় ব্যাপক ভিড়ের আশঙ্কা প্রশাসনের। পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হওয়ারও আশঙ্কাও রয়েছে। সেই কারণেই সতর্কতামূলক একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা-সহ উপত্যকা জুড়ে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কারফিউও জারি করা হবে। উপত্যকার এই প্রবীণ নেতার মৃত্যুতে গিলানির পাকিস্তানের এক প্রতিনিধি টুইটে লিখেছেন, “শোক ও গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি বিপ্লবের জনক সৈয়দ আলি শাহ গিলানি আজ রাতে মারা গিয়েছেন। তাঁর ইচ্ছানুসারে শ্রীনগরের কবরস্থানে তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে।”
১৯২৯-এর ২৯ জুন কাশ্মীরের বান্দিপোরার জুর্মনাজে জন্মগ্রহণ করেন গিলানি। পরবর্তী সময়ে উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির প্রধান মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। একজন স্কুল শিক্ষক হিসেবে চাকরি-জীবনে হাতেখড়ি হয় গিলানির। পরে ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) একজন প্রবীণ নেতা মাওলানা মোহাম্মদ মাসুদীর হাত ধরে রাজনীতিতে যোগ দেন গিলানি। কিন্তু তার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি জামাত-ই ইসলামীতে চলে আসেন। গিলানির রাজনৈতিক জীবনের শুরুটা হয়েছিল সোপোরে। সোপোর বরাবরাই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শক্তি ঘাঁটি বলে পরিচিত। ১৯৭২ সালে তিনি প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
আরও পড়ুন- দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএসের নিয়োগ নিয়ে শুভেন্দুর কটাক্ষ ‘জব কে সাথ ভী, অবসর কে বাদ ভী’
অভিযোগ, কাশ্মীর ইস্যু সমাধানের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের পক্ষে একজন প্রবল সমর্থক ছিলেন গিলানি। ১৯৯৩ সালে যখন হুরিয়ত কনফারেন্স গঠিত হয় সেই সময় সাতজন নির্বাহী সদস্যের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান বরাবর চেয়ে এসেছেন সৈয়দ শাহ গিলানি। পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হোক কাশ্মীর, এমনটাই চাইতেন তিনি। গত বছর, পাকিস্তান সরকার গিলানিকে সে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান নিশান-ই-পাকিস্তান প্রদান করেছিল।
গিলানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। টুইটে তিনি লিখেছেন, “আমরা অধিকাংশ বিষয়েই হয়তো একমত হতে পারিনি। কিন্তু আমি তাঁর অবিচলতার জন্য এবং তাঁর বিশ্বাসের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য সম্মান করি।” পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজ্জাদ লোন টুইটে লিখেছেন, “সৈয়দ আলি শাহ গিলানি সাহেবের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা। আমার প্রয়াত পিতার একজন সম্মানিত সহকর্মী ছিলেন তিনি। আল্লাহ তাঁকে জান্নাত দান করুন।”
Deeply saddened to learn of the passing of Kashmiri freedom fighter Syed Ali Geelani who struggled all his life for his people & their right to self determination. He suffered incarceration & torture by the Occupying Indian state but remained resolute.
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) September 1, 2021
কাশ্মীরের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশ সরকারি শোক পালন করবে। দেশের পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। গিলানি তাঁর মানুষজন এবং তাঁদের আত্মনির্ধারণের অধিকারের জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছিলেন।”
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us