শেষমেশ কথা মতো সিরিয়ায় একযোগে হামলা চালাল আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। সিরিয়ার রাজধানীতে এদিন একাধিক বিস্ফোরণের খবর মিলেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে বলে জানা গেছে। যা ঘিরে বিশ্ব দরবারে শুরু হয়ে গেল নয়া দ্বন্দ্ব। এই হামলার ফল ভাল হবে না বলে ইতিমধ্যেই হুংকার দিয়েছে রাশিয়া।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করাই লক্ষ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পদের। শুক্রবারই হোয়াইট হাউস থেকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বিবৃতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান যে, তাঁর দেশ সিরিয়ায় হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যতদিন না সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করবে, ততদিন এই হামলা চালানো হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ব্যাপারে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সমর্থন পেয়েছে আমেরিকা। কারণ সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংসে আমেরিকার পাশাপাশি শামিল হয়েছে ওই দুই দেশও।
গত সপ্তাহেই বিষাক্ত গ্যাসের জেরে কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল সিরিয়ায়। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। এই গ্যাস হামলা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় বিশ্ব দরবারে। একে দানবিক কাজ বলে মন্তব্য করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে বাশার আল-আশাদের সরকারের পাশে থাকার জন্য রাশিয়া ও ইরানকে একহাত নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হামলার আগে সিরিয়াকে আগেই সতর্ক করেছিল আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন। একথা শনিবার জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে রাশিয়া এ হামলার নিন্দা জানিয়ে ফল ভাল হবে না পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তবে আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেনের এই হামলাকে সমর্থন করেছে ইজরায়েল, তুরস্ক। আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন এনএটিও প্রধানও।