তবলিঘি জামাত ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্র। তবলিঘি জামাত ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমগুলির সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার অভিযোগে মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের দাখিল করা হলফনামাকে প্রতারণাপূর্ণ এবং নির্লজ্জ আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চে বৃহস্পতিবার জমিয়তে উলেমা-এ-হিন্দের দায়ের করা পিটিশনের ভিত্তিতে শুনানি ছিল। মামলায় অভিযোগ, দেশের করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজে তবলিঘি জামাতের জমায়েতকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ইচ্ছাকৃত ভাবে। যাতে একে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া যায়। তাতে কেন্দ্রের দাখিল করা হলফনামা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে ভর্ৎসনা করে বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের এক জুনিয়র অফিসার হলফনামা তৈরি করেছেন। তাতে অপ্রয়োজনীয় এবং অবাস্তব তত্ত্ব দেওয়া হয়েছে মিডিয়া রিপোর্টিং নিয়ে। বিরক্ত হয়ে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় সচিব স্তরের কোনও আধিকারিককে দিয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছে। তাতে যেন মিডিয়া রিপোর্টিং নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিস্তারিত বর্ণনা থাকে, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। এদিন প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, এইভাবে আদালতের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা যায় না। জুনিয়ার অফিসারকে দিয়ে হলফনামা তৈরি করা হয়েছে। এটা প্রতারণামূলক এবং এতে মামলাকারীর বাজে মিডিয়া রিপোর্টিং নিয়ে উল্লেখই নেই। আপনাদের অমত থাকতেই পারে, কিন্তু কীভাবে বলতে পারেন যে ভুল তথ্য পেশ করেনি সংবাদমাধ্যম! মন্ত্রকের সচিব যেন ঠিকঠাক হলফনামা পেশ করেন।
আরও পড়ুন প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর অশ্বিনী কুমারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
জামাতের তরফে আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে জানিয়েছেন, কেন্দ্র তার হলফনামায় জানিয়েছে, যে মামলাকারী মনপ্রকাশের স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করেছে। তাতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের আরও দুই বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, ওরাও যেমন স্বাধীনভাবে হলফনামা তৈরি করতে পারে যেমন মামলকারীরা স্বাধীনভাবে তর্ক করতে পারে। প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে তবলিঘি জামাত ইস্যুতে। তারপর ৭ আগস্ট কেন্দ্র হলফনামা জমা করে শীর্ষ আদালতে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন