'তবলিঘি জামাতে অংশগ্রহণকারী শতাধিক বিদেশির ভিসা কী বাতিল করা হয়েছে? যদি করা হয়ে থাকে তবে কী প্তি ক্ষেত্রে পৃথক আদেশ জারি করে হয়েছে?' কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
করোনা আবহে নিজামুদ্দিনের সমাবেশে যোগ দিতে ভারতে আসা ৯৬০ জন বিদেশি পর্যটককেপ্রথমে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পরে ৪ঠা জুন সেই তালিকায় যোগ করা হয় আরও ২৫০০ জনকে। এই আদেশের বিরুদ্ধে ৩৪ জন বিদেশি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি এ কে খানউলকর, বিচারপতি দিনেশ মাহাশ্বরী ও সঢ্জাব খান্নার বেঞ্চ সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহাতেকে বলেন, 'যদি ওইসব বিদেশির ভিসা বাতিল করা হয়ে থাকে তবে তাঁরা এখনও কেন ভারতে রয়েছেন?...যদি বাতিল না হয়, আমরা এই আবেদন খারিজ করে দেব।'
ভিসা কালোতালিকাভুক্ত করার ঘোষণা কী সাধারণ আদেশ ছিল, নাকি প্রতিজনের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে আদেশ জারি করা হয়। সর্বোচ্চ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ সলিসিটার জেনারেলের কাছে এই বিষয়টি জানতে চান।
আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী সালমান খুরশিদ বলেন, ভিসা প্রতি বছর দেওয়া হয়, কিন্তু হঠাৎফই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আদালত উল্লেখ করে যে, এর আগে এই ধরনের কোনও নির্দেশ ছিল না এবং এটি কেবল একটি অফিসিয়াল প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছিল।
বর্ষীয়ান আইনজীবী সি ইউ সিং আবেদনকারীদের পক্ষে বলেন, কোনও বিজ্ঞপ্তি বা নির্দেশ কোনও ব্যক্তি বিশেষকে দেওয়া হয়নি। ভিসা বাতিল বা বিদেশিদের কালোতালিকাভুক্ত করার কোনও আদেশ যে দেওয়া হয়নি সেই বিষয়টি আদালতে জমা করেন তিনি। তবে বিদেশিদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সিং।
কেন্দ্রের পক্ষে আইনজীবী রজত নায়ার আদালতে জানান, তাবলীগ সদস্যদের আবেদনের প্রতিলিপি সরকারের কাছে পৌঁছয়নি। আদালত জানিয়েছে, ভিসা বাতিল প্রতি জনের ক্ষেত্রে পথক বিবেচনার মাধ্যমে হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সেই আদেশ দেওয়া হয়েছে কিনা তা জানা প্রয়োজন। আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী সি ইউ সিং বলেন, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কেন্দ্রের পুরো বিষয়টি দেখা উচিত। ভিসার শর্ত লংঘন হলেও বিদেশিদের দেশে ফেরৎ পাঠানো উচিত।
কোনও বিদেশির ভিসা কোলাতালিকাভুক্ত করার অর্থ হল আগামী দশ বছরের জন্য সে আর ভারতে আসার ভিসা পাবেন না।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন