তাইওয়ান চিনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এর সঙ্গে ভারত-চিনের সীমান্ত সমস্যার কোনও যোগই নেই। এমনটাই দাবি করলেন ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান উইডং। বছর দুই আগে ভারত-চিন সীমান্তে অচলাবস্থা তৈরি হয়। তার পর এই প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করলেন ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে নয়াদিল্লির পাশাপাশি বেজিংও সমানতালে চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল। উভয় দেশই সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জরুরি ভিত্তিতে চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভারত ও চিন ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক ও সামরিকস্তরে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে। উভয়পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতের প্রশ্ন মাথায় রাখা হয়েছে বৈঠকে। আগামী দিনেও যাতে আলোচনা চলে, তা নিয়েও কথা হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ এবং সামরিক মহড়া নিয়েও মুখ খুলেছেন চিনের রাষ্ট্রদূত। তিনি জানিয়েছেন, বেজিং সবসময় সামরিক মহড়া চালানোর পক্ষে। দুই দেশই পারস্পরিক এবং সমনিরাপত্তার নীতি মাথায় রেখেই এগোচ্ছে। সান উইডং বলেন, 'জঙ্গলের নীতি চলতে পারে না। একজন জয়ী হবে। অন্যজন হেরে যাবে। এমনটা হতে পারে না। তার উভয়পক্ষই সাবধানে সমস্যা দূর করতে কাজ করছে।'
আরও পড়ুন- হিজবুল প্রধানের ছেলে সহ কাশ্মীরে সরকারি চাকরি গেল চারজনের
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের মধ্যে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের সূত্র ধরে আগামী দিনগুলোতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে দুই দেশ। এমনটাই জানিয়েছেন চিনের রাষ্ট্রদূত। তিনি জানান, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চিনের প্রতিনিধিদের ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি, দুই দেশের সামরিক বাহিনীও সীমান্তে অহরহ বৈঠক করছে। সবটাই সমাধানসূত্র খোঁজার লক্ষ্যে বলেই জানিয়েছেন সান উইডং। ইতিমধ্যেই ভারতে রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি পরিবর্তন হয়েছে। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট। এই সৌজন্য আসলে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা বলেই মনেই দাবি করেছেন ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত।
Read full story in English