ঠিক এমন সময়ে যখন তাইওয়ানের শীর্ষ প্রযুক্তি সংস্থাগুলো তাদের উত্পাদন কেন্দ্রগুলো চিন থেকে ভারতে স্থানান্তর করার দিকে নজর দিচ্ছে, সেই সময় বুধবার তাইওয়ান ঘোষণা করেছে যে তারা মুম্বইয়ে একটি নতুন অফিস খুলবে। দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের পরে, এটিই হবে ভারতে তাদের তৃতীয় অফিস। এটি তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, এর 'চায়না-প্লাস-ওয়ান' কৌশল দেশে তাদের উপস্থিতি বজায় রেখে চিনের বাইরে তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করতে সেখানকার ব্যবসায়ীদের উত্সাহিত করবে।
যদিও ভারতের সঙ্গে তাইওয়ানের এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, কারণ এটি এক-চিন নীতি মেনে চলে। এই পরিস্থিতিতে তাইওয়ান ভারতে ব্যবসা পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছে। দূতাবাসের অনুপস্থিতিতে এই অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোই ভারতে তাইওয়ানের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে। দিল্লিতে এর কার্যালয় কার্যত দূতাবাসের ভূমিকা পালন করে। আর, চেন্নাইয়ের কেন্দ্রটি উপদূতাবাস হিসেবে কাজ করে।
বুধবার একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে, তাইওয়ানের বিদেশ দফতর বলেছে যে, 'সাম্প্রতিক বছরগুলোয়, চিন প্রজাতন্ত্র (তাইওয়ান) এবং ভারতের মধ্যে সহযোগিতামূলক অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, শিক্ষা, ঐতিহ্যময় ঔষধ, প্রযুক্তির, গুরুত্বপূর্ণ আদানপ্রদান-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। এই উন্নয়নের আলোকে আরওসি (তাইওয়ান) সরকার দুই দেশের মধ্যে আদান-প্রদান ও সহযোগিতাকে আরও গভীর করার জন্য মুম্বইয়ে তাইপেই ইকোনমিক অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার (টিইসিসি) প্রতিষ্ঠা করবে।'
আরও পড়ুন- অনেক কিছুর মতই নেই প্রচারের কোলাহল, জঙ্গল-পাহাড়ঘেরা নির্জনতায় একটি গ্রামে একটিই পরিবারের বাস!
তাইওয়ান আরও বলেছে যে চেন্নাইয়ে টিইসিসি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে, ভারতে বিনিয়োগ এবং কারখানা খোলার জন্য তাইওয়ানের সংস্থাগুলো দক্ষিণ ভারতকেই বেছে নিয়েছে। ভারতে তাইওয়ানের সংস্থাগুলোর ৬০ শতাংশ ব্যবসাকেন্দ্র দক্ষিণ ভারতে। চেন্নাই এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলো তাইওয়ানের উৎপাদন শিল্পের বিনিয়োগে উপকৃত হয়েছে। মুম্বইতে টিইসিসি প্রতিষ্ঠার ফলে পশ্চিম ভারতেও একই রকম প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।