১৫ই অগাস্টের আগে তাজমহল খোলার সম্ভাবনা নেই। তারপর পরিস্থিতি বিচার করে পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্য এই সৌধ দর্শকদের জন্য খোলার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। প্রয়োজনে আরও দু'সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় এই সৌধের দরজা বন্ধ রাখা হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আগামী ১লা অগাস্ট থেকে আগ্রার বিভিন্ন স্মৃতিসৌধগুলো দর্শকদের জন্য খোলার কথা রয়েছে। কিন্তু, আগ্রায় করোনার প্রাদুর্ভাব বেশি। তাজমহল কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে বাফার জোনের অন্তর্গত। তাই আপাতত পরিস্থিতি বিবেচনা করে পর্যটকদের জন্য তাজমহল না খোলারই পক্ষে জেলা প্রশাসন।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পর্যটন শিল্পের হাল অত্যন্ত খারাপ। এই ক্ষেত্রের বেহাল দশা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল টুইটে জানিয়েছিলেন যে, জুলাই মাসের ৬ তারিখ থেকে ঐতিহ্যবাহী স্থান ও সৌধগুলো দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে, সবাইকেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে এই সব জায়গায় প্রবেশ করতে হবে। এছাড়াও বলা হয়েছিল যে, ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গা ও সৌধগুলো জেলা প্রশাসনের সম্মতিক্রমে খোলা হবে।
মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ৬ই জুলাই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দেশজুড়ে দু'হাজারেরও বেশি কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সৌধ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়। তবে, আগ্রায় অবস্থিত সৌধগুলো বন্ধই ছিল। আগ্রার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাজমহল সহ অন্যান্য সৌধগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় জেলা প্রশাসন।
আগ্রার জেলাশাসক প্রভূ নারায়ণ সিং সৌধ বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছিলেন যে, 'তাজমহল জেলার কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে বাফার জোনের অন্তর্গত। তাই এই সৌধ পর্যটকদের খোলা ঠিক হবে না।' সেই সময় নতুন করে আগ্রায় ৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হন ও শহরে ৭০টি সক্রিয় কনটেনমেন্ট জোন ছিল। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, বর্তমানে সংক্রমণের সংখ্যা কমলেও রাজ্য সরকার জেলা প্রশাসনকে কোনও ঝুঁকি নিতে নিষেধ করেছে ও বিধি-নিষেধ শিথিল করার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে বলেছে।
এ ক্ষেত্রে আগ্রা জেলা প্রশাসনকে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে, স্মৃতিসৌধগুলো আগামী ২-৪ মাস সপ্তাহ বন্ধ রাখতে কেন্দ্রের থেকে অনুমতি চাইতে হবে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সূত্রে এমনটাই জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন