তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে মহিলাদের উপর নেমে এল চরম শাস্তি। এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করার কথা ঘোষণা করল তালিবান। অনির্দিষ্ট কালের জন্য মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক। যা ঘিরে তীব্র নিন্দা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং রাষ্ট্রসংঘ।
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন আফগান সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলা পড়ুয়াদের পঠনপাঠন বন্ধ করা হল। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিউইয়র্কে যখন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনার মধ্যেই তালিবান প্রশাসনের এই ঘোষণা সামনে এসেছে।
এই নিয়ে পশ্চিমি দুনিয়া যেমন আমেরিকা, সাফ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে মহিলাদের শিক্ষা নিয়ে নীতি পরিবর্তন প্রয়োজন। তাহলেই তালিবান শাসিত সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব। নাহলে তালিবান প্রশাসনের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। কিন্তু তার মধ্যেই তালিবান সরকার মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা দিয়ে দিল।
তালিবান প্রশাসনের এই ঘোষণায় পর রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড পরিষদকে জানিয়েছেন, "তালিবান কখনও আশা করতে পারে না আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্য হব অথচ আফগানদের অধিকার হরণ করব। বিশেষ করে, মহিলা এবং শিশুদের মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকার হরণ করার পর।"
ওদিকে, ওয়াশিংটনে বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালিবানকে স্বীকৃতি পাওয়া থেকে রুখতে সবরকম চেষ্টা করবে। রাষ্ট্রসংঘে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেছেন, "মহিলাদের অধিকার খর্ব করার আরও একটা পদক্ষেপ তালিবানের। প্রত্যেক ছাত্রীর জীবনের আশাভঙ্গ করল তালিবান। আত্মনির্ভর এবং সমৃদ্ধ আফগানিস্তান তৈরির পথে আরও একটা বাধা সৃষ্টি করল তালিবান।"