আফগানিস্তানের তালেবান সরকার দেশি-বিদেশি সব বেসরকারি সংস্থাকে (এনজিও) তাদের মহিলা কর্মচারীদের কাজে আসা বন্ধ করার নির্দেশ জারি করেছে। দেশের অর্থ মন্ত্রক থেকে এক চিঠিতে ‘নারী স্বাধীনতার’ ওপর বিধিনিষেধের এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
Advertisment
প্রতিবেদন অনুসারে, অর্থ মন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুলরহমান হাবিবের চিঠিতে বলা হয়েছে দেশের সকল এনজিওকে তাদের মহিলা কর্মচারীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি বাতিল করা হচ্ছে। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে কিছু মহিলা তালেবানের নির্দেশ অনুসারে ইসলামিক পোষাক বিধি অনুসরণ করেনি।
এনজিওগুলির জন্য এই তালেবান আদেশ আফগানিস্তানের মহিলাদের কর্মজীবনে যে ব্যপক প্রভাব ফেলতে চলেছে সন্দেহ নেই। সেদেশে রাষ্ট্রসংঘের একাধিক এনজিও রয়েছে। তাদের ওপরও এই নির্দেশ প্রভাব ফেলতে চলেছে। চরম অনাহারে ভুগছে আফগানিস্তান। দেশের চরম সংকটের মধ্যেও এসব সংস্থা সাধারণ মানুষকে পরিসেবা দিয়ে যাচ্ছে।
এই আদেশের মাত্র কয়েকদিন আগে তালেবানরা সেখানকার সব বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা মেয়েদের জন্য বন্ধ করে দেয়। ২০ ডিসেম্বর এই সংক্রান্ত এই নির্দেশ জারি করা হয়। নির্দেশে তালেবানরা আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মহিলাদের শিক্ষা ‘নিষিদ্ধ’ করে। তালেবান উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। আফগানিস্তানে ২০২১ সালের আগস্ট থেকে শুরু হওয়া তালেবান শাসনের প্রথম ঘটনা নয় যখন মহিলারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।