Madras High Court: শুধু মাত্র সংস্কৃতে স্ত্রোতবাক্য পাঠ করলে ভগবান শুনবেন। এমন একটা বিশ্বাস প্রচলিত আছে। কিন্তু তামিলও ভগবানের ভাষা। সেই ভাষায় স্ত্রোত পাঠ করলে শুনবেন ভগবান। এমন দাবি করে সম্প্রতি এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এন কিরুবাকরণ এবং বিচারপতি বি পুগালেন্ধির ডিভিশন বেঞ্চের এই পর্যবেক্ষণ। সেই পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করে কোর্টের নির্দেশ, ‘মন্দির প্রতিষ্ঠাকালে তামিলে স্ত্রোত উচ্চারণেও ভগবানের কানে প্রার্থনা তুলে দেওয়া যাবে।‘ বিশেষ করে সন্ত আঝওয়ারস, নয়ণমার্স এবং অরুণাগিরিনাথের তামিল স্ত্রোত এই শুভকাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘ এদেশে এটা বিশ্বাসের জায়গায় গিয়েছে যে একমাত্র সংস্কৃত ভগবানের ভাষা। কিন্তু নানা দেশে এবং ধর্মের বিশ্বাস পৃথক। তাই তাদের উপাসনাস্থল সংস্কৃতি এবং ধর্মভেদে বদলায়। এসব জায়গায় স্থানীয় ভাষা এই ধরনের স্বর্গীয় কাজ করা হয়ে থাকে। একমাত্র আমাদের দেশে সংস্কৃতকে ভগবানের ভাষা হিসেবে ধরা হয়। সেখানে অন্য কোনও ভাষার জায়গা নেই। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই সংস্কৃত পুরাতন ভাষা। এই ভাষায় একাধিক সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে। তাই এমন একটা বিশ্বাস তৈরি করা হয়েছে, একমাত্র সংস্কৃতে বেদ পাঠ করলে ভগবান প্রার্থনায় সাড়া দেবেন।‘
তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় মন্দির প্রতিষ্ঠাকালে তামিল শৈব মন্ত্রোচ্চারণে অনুমতি দিক স্থানীয় প্রশাসন। এই দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল একটি সংস্থা। সেই মামলার শুনানিতে এই পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের।
এই প্রসঙ্গে আদালত বলেছে, ‘তামিলও বিশ্বের অন্যতম পুরাতন ভাষা। এমনটা প্রচলিত আছে নৃত্যের সময় মহাদেবের হাত থেকে পেলেট ড্রাম পড়ে তামিল ভাষার সৃষ্টি। কেউ আবার বলেন ভগবান মুরুগা এই ভাষার সৃষ্টিকর্তা।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন