গতবছর জুলাইয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) থেকে সমন পেয়ে চমকে গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর সালেম জেলার এক দলিত কৃষক পরিবার। কানাইয়ান এবং কৃষ্ণানকে দেওয়া হয় এই সমন। দুজনেই ষাটোর্ধ। কথিত আর্থিক দুর্নীতি ইস্যুতে সমন পাওয়ার পর তাদের আইনজীবি আদালতে জানিয়েছেন, 'দুই ভাইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র সাড়ে চারশো টাকা'।
২০২০ সাল থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতা গুনাশেকারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন কৃষক পরিবার। তার পরই ইডির সমন ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় কৃষ্ণান বলেন, ৪ জানুয়ারি তাকে হয়রানির জন্য গুনাশেকরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। একান্ত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "তিন বছর ধরে আমাদের জমি চাষ করতে দেননি উনি,” । যোগ করেছেন যে তার বড় ভাই কানাইয়ান এবং তিনি এই সমস্ত বছর প্রতি মাসে হাজার টাকার নামমাত্র পেনশন এবং বিনামূল্যের রেশনের চালের উপর বেঁচে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।
তাদের আইনজীবী প্রবিনা যোগ করেছেন, “ভাইরা বিজেপি নেতাদের হুমকির কারণে বছরের পর বছর ধরে তাদের নিজের জমিতে চাষ করতে পারেনি। বিজেপির তিরুপতী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “দলের নেতারা বলছেন পুরো ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনো ভূমিকা নেই। গুণশেকর এবং কৃষকদের মধ্যে জমি বিবাদের সঙ্গে ইডি সমনের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারিসহ একাধিক মামলা করেছে”।
এদিকে, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA), 2002-এর অধীনে একটি মামলা কেন বৃদ্ধ দলিত কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল তা নিয়ে কথা বলতে অস্বীকার করে, চেন্নাইয়ের একটি শীর্ষ ইডি সূত্র বলেছিল, "এটি আমাদের তরফে একটি ত্রুটি”। আইনজীবী প্রভিনার অভিযোগ, “ইডি দফতরে হাজির হওয়ার জন্য দলিত কৃষক ভাইদের ৫০ হাজার টাকা ধার নেওয়ার জন্য তাদের জমি বন্ধক রাখতে বাধ্য করা হয়েছিল"।