Advertisment

ছাত্রের চুলের ছাঁটেই কমছে পরীক্ষায় পাশের হার!

‘লাইন কাটিং’, ‘বক্স কাটিং’, ‘ওয়ান সাইড’, ‘স্পাইক’ -স্কুল ছাত্রদের জন্য এমন হেয়ার স্টাইলের আবদার যেন না মেটান হেয়ার ড্রেসাররা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tamil nadu news, তামিলনাড়ুর খবর, তামিলনাড়ু, tamil nadu school haircut rule, ছাত্রদের হেয়ারকাট, হেয়ারস্টাইল, Tamil Nadu Government Schools, স্কুল পড়ুয়াদের হেয়ার স্টাইল, তামিলনাড়ুর সরকারি স্কুলের হেয়ার স্টাইল, Tamil Nadu students, Hair Cuts, Students Hair Cut, ছাত্রদের হেয়ারকাট, হেয়ার স্টাইল, Hairstylers, Tirunelveli, Tenakasi, Adoloscne students, Indian Express bangla News, Chennai News, Tamil Nadu News

প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্কুলের বেশ কয়েকজন ছাত্র হেয়ার স্টাইল নিয়ে মেতে থাকায় তাঁদের পরীক্ষার ফল খারাপ হয়েছে। প্রতীকী ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

চুলের বাহারি ছাঁটের কারণেই পড়ুয়াদের পাশের হার কমে গিয়েছে! আর সে জন্য শহরের সব সেলুনে প্যামফ্লেট হাতে ছুটছেন স্বয়ং প্রধান শিক্ষক! হেডস্যারের একটাই আর্জি, ছেলেদের বিগড়ে যেতে দেবেন না! ‘লাইন কাটিং’, ‘বক্স কাটিং’, ‘ওয়ান সাইড’, ‘স্পাইক’ -স্কুল ছাত্রদের জন্য এমন হেয়ার স্টাইলের আবদার যেন না মেটান নরসুন্দরকূল। বরং স্কুলের পরিবেশের কথা মাথায় রেখে যেন ছাত্রদের চুল কাটা হয়। সম্প্রতি এমন কাণ্ডই ঘটেছে তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলি জেলার তেনকাসির মেলাগ্রামের একটি সরকারি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে।

Advertisment

এ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসটি শ্রীনিবাসন এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘ছাত্রদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতার পাঠ দেওয়া শুধুমাত্র শিক্ষকদেরই কর্তব্য নয়, সমাজেরও বড় দায়িত্ব। তাই সকল হেয়ারড্রেসারদের কাছে আমাদের অনুরোধ, স্কুলের পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যেন ছাত্রদের হেয়ার স্টাইল করা হয়’’। এ প্রসঙ্গে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্কুলের বেশ কয়েকজন ছাত্র হেয়ার স্টাইল নিয়ে মেতে থাকায় তাদের পরীক্ষার ফল খারাপ হয়েছে। তাঁর দাবি, পড়াশোনার বদলে হেয়ার স্টাইল করতেই বেশি মাথা ঘামাচ্ছে পড়ুয়ারা। যার জেরে পাশের হার কমেছে।

আরও পড়ুন: কে বানাবে রাম মন্দির? অযোধ্যায় তুমুল বাক-বিতণ্ডা

এই সমস্যা মেটাতে স্কুলে শিক্ষক-অভিভাবক বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেও এ প্রসঙ্গ তোলা হয়। সেই বৈঠকের পরই সেলুনে যাতে ছাত্রদের কোনও বাহারি হেয়ার স্টাইল না করা হয়, সে ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তবে এহেন পদক্ষেপকে কয়েকজন নেটিজেন ‘নীতি পুলিশি’ তকমা দিলেও অধিকাংশ জনই প্রধান শিক্ষকের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এমনকী, অন্যান্য স্কুলের প্রিন্সিপাল, প্রধান শিক্ষকরাও এ ব্যাপারে এগিয়ে এসেছেন। এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন তিরুনেলভেলি জেলার চিফ এডুকেশনাল অফিসারও।

Read the full story in English

national news
Advertisment