/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/trichur-1.jpg)
গর্ত থেকে উদ্ধার হল সুজিতের পচাগলা মৃতদেহ।
তামিল নাড়ুর এক পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে সুজিত উইলসনকে উদ্ধার করা গেলেও শেষ রক্ষা হলো না। মঙ্গলবার ভোরে ওই কুয়ো থেকে বের করা হলো দুই বছরের শিশুটির ক্ষতবিক্ষত, পচাগলা দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত ঘোষণা করা হয় তাকে।
পরিত্যক্ত ওই কুয়োর প্রায় ৮৮ ফুট গভীরে আটকে ছিল সুজিত। প্রথমদিকে তাকে ওই খোলামুখ কুয়ো থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। সরবরাহ করা হয় অক্সিজেন। কিন্তু, সময় যত গড়াতে থাকে, ততই অসম্ভব হয়ে ওঠে ওই প্রক্রিয়ায় উদ্ধারকাজ। পরিত্যক্ত কুয়োর তিন মিটার দূরে ৯৮ ফুটের আরেকটি গর্ত খোঁড়া হয়। সেই গর্ত দিয়ে ৬৩ ফুট নিচে নামতেই দুর্গন্ধ পান উদ্ধারকারীরা। তখনই সুজিতকে জীবিত উদ্ধারের আশা শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আড়াইশোটির বেশি গরু উদ্ধার বিএসএফের
এর আগে তামিল নাড়ুর পরিবহন দফতরের সচিব সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছিলেন, "গর্ত থেকে পচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা দেহটি উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।" এরপর মঙ্গলবার ভোরে পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় দুই বছরের শিশুর দেহ। ময়না তদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে। পরে তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে, যার পরে ফাতিমাপুদুর কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হবে সুজিতকে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত সুজিতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, নানান সংগঠনের সদস্যরা।
শুক্রবার বিকেলে তামিল নাড়ুর তিরুচিরাপল্লি জেলার নাডুকাট্টুপাট্টি গ্রামে বাড়ির অদূরেই নিজেদের জমিতে বাবার সঙ্গে খেলছিল সুজিত। সেখানেই ছিল একটি পরিত্যক্ত কুয়ো। সেই কুয়োর মুখে খোলা ছিল। খেলতে খেলতে বেসামাল হয়ে চোখের নিমেষে ওই গভীর কুয়োয় পড়ে যায় সুজিত।
Read the full story in English