/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Untitled-design-2021-03-12T195337.841.jpg)
কোভিড টিকার প্রথম ডোজ নিলেন অশীতিপর উদ্যোগপতি রতন টাটা। নিজেই সামাজিক মাধ্যমে এই খবর দিলেন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান। তিনি লেখেন, ‘একটুও ব্যথা লাগেনি।আজ আমার কোভিড টিকার প্রথম ডোজ নিলাম। খুব সহজেই টিকা নিয়েছি। আমি আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি সবাই টিকা পেয়ে নিজেদের সুরক্ষিত করে ফেলতে পারবেন।‘
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের টিকা দেওয়া হয়েছে। তার পর গত ১ মার্চ থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সি ও ৪৫ বছরের বেশী বয়সি যাঁদের মধ্যে কো-মর্বি়ডিটি রয়েছে তাঁদের টিকাকরণ চলছে। প্রথম দিনই দিল্লির এমস (অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস)–এ গিয়ে টিকা নেন প্রধানমন্ত্রী। এ বার টিকা নিলেন রতন টাটা।
দেখুন তাঁর ট্যুইট:
Very thankful to have gotten my first vaccination shot today. It was effortless and painless. I truly hope everyone can be immunised and protected soon.
— Ratan N. Tata (@RNTata2000) March 13, 2021
১২ মার্চ পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৮২ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৫৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে শুক্রবার ২০ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৩৭ জনকে দেওয়া হয়েছে কোভিড টিকা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)- সূত্রে জানা গিয়েছে ১২ মার্চ পর্যন্ত ভারতে মোট ২২ কোটি ৫৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র শুক্রবার ৮ লক্ষ ৪০ হাজার ৬৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
এদিকে, বিমান যাত্রায় কড়া কোভিড বিধি (Covid Norms) মানতে গাইডলাইন দিল ডিজিসিএ (DGCA)। শনিবার জারি করা নির্দেশিকায় অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থা বলেছে, ‘শুধু মাস্ক থাকলেই হবে না। তা পরতে হবে। ঢাকতে হবে মুখ। বিমানবন্দরে ঢোকা থেকে উড়ানের গন্তব্যে পৌঁছন পর্যন্ত পুরোপুরি মেনে চলতে হবে কোভিড আচরণবিধি। আর সেই নির্দেশের অন্যথা হলে বিমানবন্দর থেকে বার করে দেওয়া হতে পারে অভিযুক্ত যাত্রীকে। সতর্কবার্তায় কান না দিলে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে বিমান থেকেও। এমনকি, সংশ্লিষ্ট যাত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।‘
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কয়েকদিন যাবৎ কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে অনেক যাত্রী সঠিক কোভিড বিধি মেনে চলছেন না। বিমানবন্দরে ঢোকার সময় তাঁরা সঠিক ভাবে মাস্ক পরছেন না। অনেকে মাস্ক থুতনিতে ঝুলছে। সেভাবেই বিমানবন্দরে ঘুরছেন, অন্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। অনবোর্ডিংয়ের সময়েও সেই মাস্ক থুতনিতে ঝুলে থাকে। এমনকি, মানছেন না সামাজিক দূরত্ব বিধি। যেহেতু দেশে এখনও সংক্রমণ সক্রিয়। তাই কোভিড বিধির কারণে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকেই দায়সারা ভাবে মাস্ক পরছেন।
তাই এবার থেকে অনবোর্ড কোনও যাত্রী সঠিক ভাবে মাস্ক না পরলে কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে তাঁকে ‘অবাঞ্ছিত যাত্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে। এমনটাই জানানো হয়েছে গাইডলাইনে।
সেই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের মোতায়েন সিআইএসএফ বা পুলিশের নজরে কোভিড বিধি না মানার বিষয়টি নজরে এলে তাঁরা সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে সতর্ক করবেন। তাঁদের সতর্কবার্তা না মানলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোভিড বিধি বাধ্যতামুলক ভাবে মেনে চলার বিষয়টি বিমানবন্দরের ডিরেক্টর বা টার্মিনাল ম্যানেজার দায়বদ্ধ থাকবেন বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
কোনও বিমান যদি আকাশে থাকে, তখন কোনও যাত্রী ‘অবাঞ্ছিত’ চিহ্নিত হলে অসামরিক উড়ান বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি ব্য়বস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
এদিকে, ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিরোধে এবার ভোপাল ও ইন্দোরে জারি হতে চলেছে রাত্রীকলীন লকডাউন। আগামিকাল রবিবার বা সোমবারই নয়া নির্দেশিকা জারি হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। শুক্রবার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পর্যালোচনা বৈঠক হয়। সেখানেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমাতেই হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হবে।’
মহারাষ্ট্রে কোভিডের হার ঊর্ধ্বমুখী। তাই ট্রেন, বাস বা বিমানে ওই রাজ্য থেকে মধ্যপ্রদ্সে প্রবেশ করলেই যাত্রীদের থার্মাল স্যানিং আবশ্যিক করা হয়েছে। এছাড়াও ক্রমশ শিথিল হয়ে যাওয়া কোভিড বিধি কঠোর করে ফের লাগু করতে প্রশানকে নির্দেশ দিয়েছেন শিবরাজ।
রাজ্যবাসীকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। দূরত্ব বিধি বজায়, মাস্ক পড়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সচেতনা বৃদ্ধির জন্য প্রসানকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মহারাষ্ট্র থেকে আগত ব্যবসায়ী ও রাজ্যের জোকানিদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । না মানলেই গুণতে হবে জরিমানা। নজরে থাকছে ভোপাল, গোয়ালিয়র, জবলপুর, ইন্দোর।
মানুষ যাতে ভ্যাকসিন নেয় তার জন্যও সচেতনতা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এক্ষেত্রে বয়স্ক ও কোমর্বিডদের বিশেষ করে ব্যাকসিন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে ৬০৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ইন্দোরে সংক্রমিত ২১৯ ও ভোপালে ১৩৮ জন।