টাটার সিনিয়র ম্যানেজার হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত সংস্থার বরখাস্ত কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে খুব সময়মতো গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্বাস পাণ্ডে নামের ওই ব্যক্তিকে। আগামী ১৫ নভেম্বর সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল অভিযুক্তের। সেখানে একটি চাকরি জোগাড় করে ফেলেছে বিশ্বাস পাণ্ডে। ফরিদাবাদ পুলিশের জনসংযোগ অধিকর্তা সুবে সিং জানিয়েছেন, ‘‘ফরিদাবাদের সৈনিক কলোনি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে সে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। সে বলেছে, মৃত অরিন্দম পাল এবং আরও দুজন তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাকে বরখাস্ত করিয়েছিল। সে কারণেই সে অরিন্দমদের খুন করতে চেয়েছিল।’’
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা বিশ্বাস পাণ্ডে এই হত্যাকাণ্ড ঘটনার জন্য ৯০ হাজার টাকা দিয়ে একটি পিস্তল ও ২৫ রাউন্ড কার্তুজ কিনেছিল। দেওয়ালির দু দিন আগে একটি পার্কে সে প্র্যাকটিসের জন্য দুবার গুলি ছোড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, খুন করার আগে সিঙ্গাপুরের এক বহুজাতিক সংস্থার সংঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে একটি চাকরি সংগ্রহ করে নেয় পাণ্ডে। চণ্ডীগড়ের ভিসা কোম্পানির মাধ্যমে পাসপোর্ট ও ভিসার জন্য সে দরখাস্তও করে। রবিবার বিশ্বাস পাণ্ডেকে আদালতে তোলা হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৯ নভেম্বর বেলা ১টা ১০ মিনিট নাগাদ বিশ্বাস পাণ্ডে সংস্থার ফরিদাবাদ অফিসে গিয়ে ৩৫ বছরের অরিন্দম পালকে তাঁর কেবিনে ঢুকে পাঁচবার গুলি করে। এরপরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সে। অরিন্দম পালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সেখানে কর্মরত ছিল পাণ্ডে। তবে বিশ্বাস পাণ্ডের বক্তব্য, সে সংস্থায় ১১ বছর ধরে কাজ করেছে।