মাতাল যাত্রীর ঘটনায় রবিবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। সংস্থার অধীনস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এক বয়স্কার গায়ে জনৈক বিমানযাত্রী মূত্রত্যাগ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি গত বছর ঘটেছে। সেই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চন্দ্রশেখরন বলেন, 'এই ঘটনা এয়ার ইন্ডিয়ায় আমার সহকর্মীদের কাছে এবং আমার কাছে ব্যক্তিগত যন্ত্রণার বিষয়।' অবশ্য চন্দ্রশেখরন এই কথা বললেও বিষয়টি সহজে মিটবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় রয়েছে। কারণ, ঘটনায় অভিযুক্ত শংকর মিশ্রকে শনিবারই ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে দিল্লির আদালত।
২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এআই১০২-এ। ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার প্রতিক্রয়া আরও দ্রুত হওয়া উচিত ছিল। এই প্রতিক্রিয়া যেভাবে হওয়া উচিত, তা মোকাবিলায় আমরা ব্যর্থ হয়েছি। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান সংবাদ সংস্থাকে জানান যে, টাটা গ্রুপ এবং এয়ার ইন্ডিয়া সমস্ত যাত্রী, বিমানসেবক-সহ সকলের মঙ্গলের জন্য দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি বলেন, 'আমরা এই ধরনের অনিয়মিত ঘটনা প্রতিরোধ বা মোকাবিলা করতে প্রতিটি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখব। আর, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'
আরও পড়ুন- অযোধ্যার মন্দির কার দায়িত্বে, কেন শাহকে একথা বললেন খাড়গে?
গত ২৬ নভেম্বর, নিউইয়র্ক এবং মুম্বইয়ের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার এক ফ্লাইটে জনৈক মদ্যপ পুরুষ যাত্রী নিজেকে শরীর উন্মুক্ত করে ৭০ বছর বয়সি এক মহিলার শরীরে মূত্রত্যাগ করে দেন। এই ঘৃণ্য কাজটি বিমানের বিজনেস ক্লাসে ঘটেছিল। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না-নিয়েই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি চাপা থাকেনি। কিছুদিনের মধ্যেই তা গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। সেই সময় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে উপস্থিত কর্মীদের নোটিস পাঠায় অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা ডিজিসিএ। নোটিসে তাদের জবাবদিহি চাওয়া হয়। পাশাপাশি, অভিযুক্ত যে সংস্থায় কাজ করতেন, সেই সংস্থাও তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়।
Read full story in English