ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে তাওকতে এবং এটি অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় ঝড় হয়ে উঠেছে এটি ১১৮ থেকে ১৬৬ কিমি প্রতি ঘন্টা বায়ুর গতিবেগ রয়েছে। মৌসম ভবনের তরফে জানান হয়েছে সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ এই ঝড় গুজরাট উপকূলে পৌঁছে যাবে। এটি ১৮ মে ভোরের সময় গুজরাটের ভাওয়ানগর জেলার পোরবন্দরে আছড়ে পড়বে।
শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ এই ঝড়টি ছিল গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও গুজরাত উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে।
শনিবার এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী মোদী। ঝড়ের কারণে করোনা চিকিৎসায় কোনও সমস্যা না দেখা যায় তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেন। হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাকি সব পরিষেবা যাতে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করতেও বলেন। দলের কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।
রবিবার পর্যন্ত কেরল, কর্নাটক ও গোয়ার উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি ও ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই আশঙ্কা আবহাওয়া দফতরের। ভারী বৃষ্টি ও ধস হতে পারে গুজরাতের বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে।
মৌসম ভবন জানায়, "প্রথম ১২ ঘন্টায় গভীর নিম্মচাপ এবং পরবর্তী ১২ ঘন্টায় তা সাইক্লোনে পরিণত হবে। এরপর আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ শুক্রবার পর্যন্ত এর গতিমুখ উত্তরপূর্বে অবস্থান করছে। ১৮ মে গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।" ইতিমধ্যেই কেরলের একাধিক অংশে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ মুম্বাই এবং গোয়াতেও করোনা দাপয়ের মাঝেই চলবে এই নিম্মচাপের দাপট, এমনটাই জানান হয়েছে৷
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন