হিমাচল প্রদেশের পারওয়ানুতে ভয়াবহ রোপওয়ে দুর্ঘটনা! যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাঝ আকাশে আটকে পড়েন ১১ পর্যটক। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে ১১ জনকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সোমবার সকালেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার জেরে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারের জন্য কেবল ট্রলি মোতায়েন করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন ঘন্টা ধরে পর্যটকরা আটকে থাকেন মাঝ আকাশে। ১১ জনের দলে ছিলেন চার মহিলা সহ বেশ কয়েকজন বয়স্ক মানুষ। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। শেষপর্যন্ত সবাইকেই নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
১৯৯২ অক্টোবরে একই ধরনের ঘটনায় আটকে পড়েন ১১ পর্যটক। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে তাদের উদ্ধার করা হয়। গত এপ্রিলে, ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় ৩ পর্যটকের মৃত্যু হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে এসপি (সোলান) বরিন্দর শর্মা বলেন, "তিন ঘণ্টা ধরে চলে উদ্ধারকাজ। শেষপর্যন্ত সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আটকে পড়া সকলেই দিল্লির পর্যটক।
এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পর্যটকদের মধ্যে। গত এপ্রিলেই দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে ভয়াবহ রোপওয়ে দুর্ঘটনায় ১ মহিলা সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ৪০ ঘন্টারও বেশি সময় পর্যটকরা আটকে থাকেন রোপওয়েতে। এর আগেও হিমাচলে অনুরূপ একটি ঘটনায় ১১ পর্যটক আটকে পড়েন। তাদের উদ্ধারে নামানো হয় বায়ুসেনাকে। প্রথমদিনে চারজনকে উদ্ধার করা হয়। আলো কম থাকার কারণে ব্যাহত হয় উদ্ধার কাজ। পরদিন বাকি পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়। অসীম সাহসিকতার সঙ্গে আটকে থাকা পর্য টকদের উদ্ধারের জন্য বায়ুসেনার আধিকারিকদের বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয়।