সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদকে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা মামলা চলাকালীন সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি চলছিল। সেখানে আদালত জানায়, 'সুরক্ষার আবেদন সম্পর্কে মিসেস শীতলবাদ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপযুক্ত আবেদন জানাতে পারবেন।'
সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদ ও প্রাক্তন ডিজিপি আরবি শ্রীকুমারকে চলতি বছরের জুনে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য দিয়ে আদালতকে মামলাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছে গুজরাত সরকার। যদিও ধৃত শীতলবাদ ও শ্রীকুমার তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সোমবার, শীতলবাদের জামিনের আবেদনের মামলার প্রেক্ষিতে গুজরাট সরকার সুপ্রিম কোর্টকে তার বক্তব্য জানিয়েছে। সেখানে গুজরাট সরকার বলেছে যে ২০০২ সালের দাঙ্গা মামলায়, 'নিরপরাধ লোকেদের' ফাঁসানোর জন্য প্রমাণ জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তিস্তা শীতলবাদকে। তিনি একজন প্রবীণ রাজনৈতিক নেতার নির্দেশে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে গোটা ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রটি রচনা করেছিলেন। জামিনের আবেদনকারী শীতলবাদ ওই রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন- ইদগা ময়দানে গণেশ চতুর্থীর অনুমতি, মাঠ সরকার না মুসলিমদের, শুনানি বৃহত্তর বেঞ্চে
পাশাপাশি, নিরপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসানোর জন্য 'মোটা অঙ্কের অর্থ'ও পেয়েছেন। এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট, ২০০২-০৩ সালের গুজরাত দাঙ্গার মামলাগুলোকে বিশেষ তদন্তকারী দলের থেকে সিবিআইয়ের হাতে স্থানান্তরিত করা নিয়ে ১১টি আবেদনের একটি নিষ্পত্তি করেছে। আদালত দেখেছে যে তদন্তের পর ইতিমধ্যেই মামলাগুলো নিষ্ফল হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ৯টি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তভার সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দলকে দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে নিম্ন আদালত এবং গুজরাট হাইকোর্ট, তিস্তা শীতলবাদের জামিনের আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এই সমাজকর্মী। ২০০২ সালের দাঙ্গার সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ওই দাঙ্গার জন্য তাঁকে অভিযুক্ত করেছিলেন তিস্তা শীতলবাদ।
এই ব্যাপারে তিনি নিহত কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু, জাকিয়া জাফরির আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তদন্তকারী দল নরেন্দ্র মোদীকে গুজরাট দাঙ্গায় ক্লিনচিট দেয়। আর, সেই ক্লিনচিট বহাল থাকে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ। আদালত ক্লিনচিট বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয় তিস্তা শীতলবাদকে।
Read full story in English