Advertisment

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর মোদী সরকার, নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-হুররিয়াত

কেন্দ্র বলেছে যে তেহরিক-ই-হুররিয়াত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে ইন্ধন দেওয়ার জন্য ভারত বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tehreek-e-hurriyat

মোহাম্মদ আশরাফ সেহরাই (বাম) — TeH এর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ শাহ গিলানির (ডানে) সাথে TeH এর নতুন চেয়ারম্যান। (ছবি: এএনআই/টুইটার)

জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে নেমেছে ভারত সরকার। জম্মু ও কাশ্মীর তেহরিক-ই-হুররিয়াত-কে কেন্দ্রীয় সরকার UAPA-আইনের অধীনে একটি 'অবৈধ সংগঠন' হিসাবে ঘোষণা করেছে।

Advertisment

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে এই সংগঠনটি জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। পাশপাশি এই সংগঠন ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির অধীনে, ভারতবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে সরকার।

অমিত শাহ ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন যে 'তেহরিক-ই-হুররিয়াত (টিইএইচ) ইউএপিএর অধীনে একটি 'বেআইনি সংগঠন' ঘোষণা করা হয়েছে। এই সংগঠনটি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ভারতকে বিচ্ছিন্ন করা এবং ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে। এটি জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ভারত বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ড চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য এর আগে ২৭ ডিসেম্বর ভারত সরকার মুসলিম লীগ জম্মু ও কাশ্মীরকে (মাসরাত আলম গ্রুপ) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ইউএপিএর অধীনে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় এই সংগঠনকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে যে সব সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেই তালিকায় রয়েছে, জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা, এলটিটিই, আল কায়েদা এবং পিএফআই-এর নাম।

amit shah
Advertisment