এ যেন ঠিক যেন পর্দা থেকে উঠে আসা এক নাটকীয় ঘটনা। মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে রীতিমতো তাঁকে চুল ধরে টেনে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন শাশুড়ি রাবড়ি দেবী, এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগই করলেন আরজিডি নেতা লালু প্রসাদের পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রায়।
ঠিক কী ঘটেছে রাবড়িদেবীর বাড়িতে?
১০ নম্বর সার্কুলার রোডের বাড়ির বাইরে বসে কাঁদছিলেন লালু প্রসাদের বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদবের স্ত্রী ঐশ্বর্য রায়। খবর পেয়েই ছুটে আসেন ঐশ্বর্যর বাবা এবং আরজেডি বিধায়ক চন্দ্রিকা রায়, মা পূর্ণিমা রায় ও ছোট ভাই। ছুটে আসেন তাঁর ছোট ভাইবোনরা (যাঁরা কয়েকশো মিটারের মধ্যেই থাকে)। সাংবাদিককে ঐশ্বর্য রায় বলেন, ''উপরে নিজের ঘরে আমি টিভি দেখছিলাম, তখনই মোবাইলে মেসেজ পাই যে তেজ প্রতাপ যাদবের সমর্থকরা পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জুড়ে পোস্টার দিচ্ছেন এবং আমাকে ও আমার বাবা-মাকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলছেন। তখন নীচে নেমে শাশুড়িকে প্রতিবাদ জানাই যে আমাকে সবার সামনে অসম্মানিত করা হচ্ছে এবং বাবা-মাকে এ সমস্ত বিষয়ে টানা হচ্ছে এটা মেনে নেব না।''
তেজ প্রতাপ ও ঐশ্বর্য
প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন আগেই আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদের পরিবার থেকে বেরিয়ে এসেছেন পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাবড়ি দেবী তাঁকে হেনস্থা করেছেন, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে চুল ধরে টেনে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মমতাই ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্য জমি দিচ্ছেন, বিস্ফোরক দাবি বিমানের
ঐশ্বর্যের অভিযোগ, ''তিনি রাগে প্রায় ছুটে আসেন এবং গালাগালি দিতে শুরু করেন। তাঁর মহিলা রক্ষীর সঙ্গে মিলে আমাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন। মাথায়, হাঁটুতে ও পায়ে চোট পেয়েছি, চুল ধরে টেনে নিয়ে বাংলোর বাইরে বার করে দেন। পায়ে চটি ও গায়ে শাল নেওয়ারও সময় দেননি।'' ঐশ্বর্য আরও বলেন, ''তারা আমার মোবাইলও কেড়ে নিয়েছে কারণ তাদের কাণ্ডকারখানার ভিডিও করেছিলাম। তাদের অন্যায় কাজের প্রমাণ মুছে ফেলার জন্যই ফোন নিয়ে নিয়েছে।'' ২০১৮ সালের মে মাসে বিয়ে হয় তেজ প্রতাপ যাদব ও ঐশ্বর্য রায়ের। বিয়ের ছ'মাস পরেই বিচ্ছেদের আবেদন করেন তারা।
Read the full story in English