বিহারের রাজধানী পাটনা। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা হতবাক। কারণ, মধ্যরাতে তাঁদের দরজায় কড়া নাড়ছেন একজন যুবক। তিনি সাধারণ কেউ নন। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীপ্রসাদ যাদব। তাঁর সরকারের প্রধান নীতীশ কুমার মঙ্গলবার ছিলেন দিল্লিতে। সেই সময় যাতে রাজ্য সরকারের দিকে কোনও আঙুল না-ওঠে, তার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তেজস্বী।
তেজস্বীর কাছে স্বাস্থ্য, রাস্তা নির্মাণ এবং নগরোন্নয়নের মত গুরুত্বপূর্ণ সব দফতর রয়েছে। তেজস্বী তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে সগর্বে জানিয়েছেন যে পাটনা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ঝাড়ুদারদের ধর্মঘট তাঁর "পহল" উদ্যোগে গত কয়েকদিনে শহরের রাস্তায় আবর্জনার স্তূপের নীচে চাপা পড়েছে। বিহারের তরুণ জনতা হাসপাতালে তেজস্বীর এই গভীর রাতের "অভিযান" দেখে ইতিমধ্যেই মুগ্ধ।
তাঁর অভিযানের ক্লিপগুলো ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বছর ৩৩-এর বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীকে অনেক নেটিজেন আবার 'নায়ক' সিনেমার অনিল কাপুরের সঙ্গেও তুলনা টেনেছেন। এককথায় গোটা প্রশাসনকে নাড়িয়ে দেওয়ার মত পদক্ষেপ। কর্মতৎপর প্রশাসন।
যে হাসপাতালগুলোয় মঙ্গলবার রাতে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রাতভর পরিষেবা পরীক্ষা করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে গার্ডিনার রোড এবং গার্দানিবাগের হাসপাতালগুলো। এছাড়াও রয়েছে বিহারের বৃহত্তম সরকারি স্বাস্থ্য সুবিধাপ্রাপ্ত পিএমসিএইচ হাসপাতালও। প্রকাশিত ক্লিপে দেখা গিয়েছে, তেজস্বী যাদবের পরনে ট্রাক স্যুট, মাথায় টুপি। যার ফলে হাসপাতালের অনেক কর্মীই তাঁকে প্রথমে চিনতে পারেননি।
আরও পড়ুন- রোহিঙ্গা সমস্যা মেটাতে মায়ানমারের ওপর চাপ বাড়ান, ভারতকে অনুরোধ বাংলাদেশের
ক্লিপে স্পষ্ট, ঠান্ডা মাথার রাজনীতিবিদ দৃশ্যতই হাসপাতালগুলোয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, ওষুধের অপ্রাপ্যতা এবং রাতের রোস্টারে কর্মীদের দায়িত্বের প্রতি স্পষ্ট উদাসীনতা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ক্লিপে এরপরই বিভাগীয় আধিকারিকদের দেখা গিয়েছে। সেখানে তেজস্বী যাদবকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'সমস্ত ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো লিখি রাখুন। আমরা বিভাগীয় পর্যালোচনা সভায় ব্যবস্থা নেব।' উল্লেখ্য, নীতীশ কুমার এনডিএর সঙ্গে থাকাকালীন স্বাস্থ্য দফতর ছিল বিজেপির হাতে। নিজের দফতরের পাশাপাশি, তেজস্বী তাঁর বড় ভাই তেজপ্রতাপের দফতরগুলোও সমানভাবে দেখভাল করছেন বলেই বিহার প্রশাসন সূত্রে খবর।
Read full story in English