বুধবার সাতসকালে মর্মান্তিক কাণ্ড তেলেঙ্গানায়। সেকেন্দ্রাবাদের ভোউগুড়া এলাকায় একটি কাঠের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ঝলসে মারা গেলেন ১১ জন শ্রমিক। ভোর চারটে নাগাদ শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে যায় বলে জানি গিয়েছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন গোটা গুদাম ছড়িয়ে পড়ে। কাঠের গুঁড়োর মতো দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়ায়। গুদামে থাকা ১১ জন শ্রমিকের পুড়ে মৃত্যু হয়।
৪-৫ জন শ্রমিক পালাতে সক্ষম হন। বাকি সবাই জ্যান্ত পুড়ে ছাই হয়ে যান। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে গান্ধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। বিহারের ছাপরা জেলা থেকে এখানে এসে কাজ করছিলেন। তাঁদের নাম বিট্টু, সিকন্দর, দীপক, পঙ্কজ, রাজেশ, রাজু, চিন্টু, দীনেশ, সত্যেন্দর এবং দামোদর।
পুলিশ কমিশনার সি ভি আনন্দ জানিয়েছেন, "গত তিন বছর ধরে এই গুদামে শ্রমিকরা কাজ করতেন। মাসে ১২ হাজার টাকা বেতন পেতেন তাঁরা। এই টাকায় আশেপাশে ঘর ভাড়া নেওয়া সম্ভব নয় বলেই, গুদামের একতলায় একটি ঘরে তাঁরা শুতেন। বেশ কয়েকজন ঘুমের মধ্যেই ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যান। একতলায় তাঁরা আটকে পড়েন। প্রেম নামে এক যুবক লাফ দিয়ে পালান। আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুদামে অবৈধভাবে প্লাস্টিকের, ইলেকট্রিকের তার রাখা ছিল। গুদামের মালিকের খোঁজ চলছে। নিয়ম লঙ্ঘন হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।"
ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। মৃতদের পরিজনদের ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মুখ্যসচিব সোমেশ কুমারকে মৃতদেহগুলি তাঁদের গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলেছেন।