মোদী সরকারের আশ্বাসের পরও সিএএ বিরোধিতা যেন থামছেই না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় এবার প্রস্তাব পাস করল তেলঙ্গানা সরকার। সিএএ বাতিলের আর্জি জানিয়ে সোমবার প্রস্তাব পাস করেছে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকার। একইসঙ্গে এনপিআর ও এনআরসি-র বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্য।
প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রথম কেরালা বিধানসভায় প্রস্তাবনা পাস করা হয়। সিএএ ইস্যুতে কেরালার পথে হেঁটে প্রস্তাব পেশ করে পাঞ্জাবের অমরিন্দর সরকারও। সিএএ ইস্যুতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে শিরোমণি অকালি দল। বিধানসভায় অমরিন্দর সিংয়ের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে তারা। যদিও সংসদে সিএএ-র সমর্থনেই ভোট দিয়েছিল শিরোমণি অকালি দল। দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসাবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয় রাজস্থান বিধানসভায়। পাশাপাশি এনপিআর আপডেট করার জন্য যে তথ্যগুলি চেয়েছে কেন্দ্র তা প্রত্যাহার করার আবেদনও জানানো হয়। এরপরই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাস হয় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব। এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নয়া নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে মধ্যপ্রদেশ মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে বলছি: এনপিআর-এ কেউ সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত হবেন না’
এছাড়াও প্রথম পুরসভা হিসেবে গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস করেছে। সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস হয়েছে পুদুচেরী বিধানসভাতেও। মহারাষ্ট্রের বিড জেলার পাটরুড গ্রামে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। এদিকে, ক’দিন আগেও সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘‘সিএএ নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। নয়া আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন’’।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন