কোভিড-১৯ এর হাত থেকে ছাড়া পেতেই দুঃশ্চিন্তায় ডুবে গিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার বাসিন্দা রাজেশ লিঙ্গাইয়া ওডনালা। করোনার সঙ্গে ৮০ দিনের লড়াইয়ের পর সে জানতে পারে তাঁর হাসপাতালের বিল ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কী করে মেটাবেন এত টাকা! সারা জীবনের রোজগারও কম পড়বে। এরপরই কিছু মানুষের হস্তক্ষেপে মুকুব হয়ে যায় হাসপাতালের মোটা অঙ্কের বিল।
তেলঙ্গানার জাগটিয়াল জেলার গোল্লাপল্লী মণ্ডলের ভেণুগমাতলা গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ (৪২) দুবাইতে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ করতেন। ২৩ শে এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পড়ার দুবাইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানেই জানতে পারেন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ৮০ দিন চিকিত্সার পর তাঁকে ধরিয়ে দেওয়া হয় ১ কোটি ৫২ লাখের বিল। সে সময় তিনি সেই টাকা পরিশোধ করার অবস্থায় ছিলেন না। দুবাইয়ের গাল্ফ ওয়ার্কারস প্রোটেকশন সোসাইটির সভাপতি গুন্ডেলী নরসিংহ, যিনি চিকিত্সা চলাকালীন রাজেশের সংস্পর্শে ছিলেন এবং তারপরে বিষয়টি দুবাইতে ভারতের দূতাবাস জেনারেলের স্বেচ্ছাসেবক সুমথ রেড্ডির নজরে নিয়ে আসেন।
সুমাথ রেড্ডি এবং বিএপিএস স্বামীনারায়ণ ট্রাস্টের আরেক স্বেচ্ছাসেবক অশোক কোটেকা দুবাইতে ভারতের দূতাবাস জেনারেলের অফিসের হরজিৎ সিংকে বিল কমানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন। এরপর হরজিৎ চিঠিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিল মুকুব করা ও মানবিক হতে অনুরোধ করেন। সেই চিঠির উত্তরে হাসপাতাল ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পাশাপাশি রাজেশের হাতে হাজার দশেক টাকা ও দেশে ফেরার জন্য বিনামূল্যে বিমানের টিকিট তুলে দেওয়া হয়।
বুধবার দুবাই থেকে ফিরে এসেছে রাজেশ। এখন তাঁকে ১৪ দিনের জন্য কোরেন্টাইনে রাখা হয়েছে।