টেক্সাসে বন্দুকবাজের হানা। শনিবার টেক্সাসের ডালাসের উত্তরে একটি শপিং মলে হানা দেয় এক বন্দুকবাজ। সেখানে পৌঁছেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতী। গুলিবিদ্ধ হয়ে কমপক্ষে ৯ জনে মৃত্যু হয়েছে, জখম হয়েছেন আরও ৭ জন। পরে ওই বন্দুকবাজকেও গুলি করে মেরেছে পুলিশ।
টেক্সাসে এর আগেও বেশ কয়েকবার বন্দুকবাজের গুলি প্রাণ কেড়েছে নিরীহ মানুষের। শনিবার উইকেন্ডের কেনাকাটায় টেক্সাসের ওই শপিং মলটিতে ভিড় ভালোই ছিল। আর তার মাঝেই বন্দুকবাজের অতর্কিতে আক্রমণে নিহত হয়েছেন তেলেঙ্গানার জেলা জজের মেয়েসহ আটজন। ব্যস্ত সময়ে ভালই ভিড় টেক্সাসের ওই মলে ঠিক সময়ে আচমকা সেখানে ঢুকে পড়ে ওই বন্দুকবাজ। কারও কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অনেকে। কেউ কেউ গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই শুয়ে থেকে কাতরাতে থাকেন।
বন্দুকবাজের আক্রমণে নিহত হয় হায়দ্রাবাদের ২৭ বছর বয়সী ঐশ্বরিয়া রেড্ডি। তিনি রাঙ্গারেডি জেলা, জজ টি নরসি রেড্ডির মেয়ে। জানা গিয়েছে গত ৫ বছর ধরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন। ২০২০ সালে ইস্টার্ন মিশিগান ইউনিভার্সিটি থেকে কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর পর্ব শেষ করার পর তিনি টেক্সাসের একটি স্থানীয় ফার্মে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। পরিবারের অপর এক সদস্য, এন রাম রেড্ডি ঐশ্বরিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বুধবারের মধ্যে তার মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছাবে বলেই আশা পরিবারের। ঐশ্বরিয়া গত ডিসেম্বরে ভাই শ্রীকান্ত রেড্ডির বিয়েতে যোগ দিতে শেষ বারের জন্য দেশে আসেন।
গুলি চালনার ঘটনার মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পুলিশকর্মীরা পাল্টা গুলি চালিয়ে বন্দুকবাজকে হত্যা করে। একইসঙ্গে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এলাকার মেডিক্যাল সিটি হেলথকেয়ারের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে আটজনের চিকিত্সা তারা করেছে। যাঁদের বয়স ৫ থেকে ৬১ বছর ছিল। তবে তাঁদের কী অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জানা যায়নি।
এদিকে, একটি সিসিটিভ ফুটেজে দেখা গিয়েছে, শতাধিক মানুষ শান্তভাবে টেক্সাসের ওই মলের বাইরে হাঁটছিলেন। শপিং মলটি ডালাসের প্রায় ২৫ মাইল উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। একজন অজ্ঞাত প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ABC অনুমোদিত WFAA টিভিকে বলেছেন, ”বন্দুকধারী ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। বন্দুক দিয়ে সে গুলি করছিল।” টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এই ঘটনাকে একটি “অকথ্য ট্র্যাজেডি” বলে অভিহিত করে একটি বিবৃতিতে জানিয়ছেন, সরকারের শীর্ষ স্তর থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে এই ঘটনার মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় যে কোনও সহায়তা দেওয়া হবে।