হায়দরাবাদ এনকাউন্টারে নিহতদের দেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ

চলতি মাসের ২৩ তারিখ দ্বিতীয়বার চার অভিযুক্তের দেহের ময়না তদন্ত হবে। দিল্লির এইমস-এর তিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিয়ে গড়া মেডিক্যাল টিম এই ময়না তদন্ত করবে।

চলতি মাসের ২৩ তারিখ দ্বিতীয়বার চার অভিযুক্তের দেহের ময়না তদন্ত হবে। দিল্লির এইমস-এর তিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিয়ে গড়া মেডিক্যাল টিম এই ময়না তদন্ত করবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

হায়দরাবাদ এনকাউন্টারে নিহত চার অভিযুক্তের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ

হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যায় চার অভিযুক্তের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়। ওই চারজনের দেহ পুনরায় ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট। চলতি মাসের ২৩ তারিখ দ্বিতীয়বার চার অভিযুক্তের দেহের ময়না তদন্ত হবে। দিল্লির এইমস-এর তিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিয়ে গড়া মেডিক্যাল টিম এই ময়না তদন্ত করবে। শনিবার তেলেঙ্গানার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে (মেডিক্যাল ও হেল্থ) এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তেলেঙ্গানা সরকারকে দিল্লির এইমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে আদালত।

Advertisment

গান্ধী হাসপাতালের সুপার সারভান কুমার কোর্টকে জানিয়েছেন ওই চারটি দেহ বিকৃত অবস্থায় ছিল। এরপরই কোর্ট আগামী দু'দিনের মধ্যে অটপসি টেস্টের নির্দেশ দেয়। পুরনায় ময়নাতদন্তে কী পাওয়া গেল তার তথ্য রিপোর্ট আকারে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনেরেলের কাছে দ্রুত জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ এনকাউন্টার: পুলিশের থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা, দাবি কমিশনারের

Advertisment

হাইকোর্টের নির্দেশে, একাউন্টারে নিহত চার অভিযুক্তের দেহ রাজ্য সরকার পরিচালিত গান্ধী হাসপাতালে সংরক্ষিত রয়েছে। ভুয়ো এনকাউন্টার দাবি করে তদন্তের জন্য বেশ কয়েকটি আবেদন আদালতে জমা পড়ে। সেই আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত। সেই সূত্রেই তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।

চলতি মাসেপ ৫ তারিখ ভোররাতেপুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার চার অভিযুক্ত। শুক্রবার ভোররাতে অভিযুক্তদের নিয়ে গত ২৭ নভেম্বরের ঘটনারই পুনর্নির্মাণ করছিল পুলিশ। সেই সময়ই ওই চার অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষের মৃত্যু হয় হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনের। কেন হঠাৎ ভোররাতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছিল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়েও সরব হন মানবাধিকার কর্মী ও সমাজের বহু বিশিষ্টরা। তেলেঙ্গানা পুলিশ জানিয়েছিল, দিনের বেলা পুনর্নির্মাণ করলে জনতার অসন্তোষ জনিত অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারত। যা এড়াতেই ভোররাতে পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত।

Read  the full story in English

national news