Telangana School Attack: গেরুয়া পোশাকে স্কুলে পড়ুয়ারা, প্রশ্ন তুলতেই হেনস্থা, মারধর অধ্যক্ষকে, স্কুলে বহিরাগতদের তাণ্ডব

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা স্কুলে তান্ডব চালায়। কর্মচারীদেরও লাঞ্ছিত করা হয়।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা স্কুলে তান্ডব চালায়। কর্মচারীদেরও লাঞ্ছিত করা হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
vandalism

ছাত্রদের অভিভাবকদের পাশাপাশি স্কুল প্রশাসনের অভিযোগের ভিত্তিতে ডান্ডেপল্লী পুলিশ দুটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। পুলিশ ভিডিওগুলো পরীক্ষা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করছে।

তেলেঙ্গানার মাঞ্চেরিয়াল জেলার একটি মিশনারি স্কুলের ছাত্রদের গেরুয়া পোশাক পরে আসার প্রশ্ন করেছিলেন স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল। তারই জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা স্কুলে তান্ডব চালায়। কর্মচারীদেরও লাঞ্ছিত করেছে। স্কুলে ভাঙচুরের একটি ভিডিওও সামনে এসেছে।

Advertisment

উলটে পড়ুয়া অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্কুলের অধ্যক্ষ ও দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তবে এর পরও বিষয়টি শান্ত হয়নি। অধ্যক্ষের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিবাদকারীরা বলেছেন, এই ঘটনায় স্কুলের ক্ষমা চাওয়া উচিত।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে 'ব্লেসেড মাদার টেরেসা স্কুল' হায়দ্রাবাদ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কান্নেপল্লি গ্রামে অবস্থিত। স্কুলের অধ্যক্ষ জামন জোসেফ, যিনি কেরলের বাসিন্দা, লক্ষ্য করেন যে কিছু ছাত্র স্কুলের পোশাকের পরিবর্তে গেরুয়া পোশাক পরে স্কুলে আসছে। জোসেফ ছাত্রদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা জানান যে তারা ২১ দিন ধরে 'হনুমান দীক্ষা' অনুসরণ করছেন। এতে অধ্যক্ষ জোসেফ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের স্কুলে তলব করেন।

বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আরও বেড়ে যায় যখন কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করে এবং দাবি করে যে অধ্যক্ষ স্কুলে পড়ুয়াদের হিন্দু পোশাক পরার অনুমতি দিচ্ছেন না। এর পর বিক্ষুব্ধ জনতা স্কুলে হামলা চালায়। ঘটনার একটি ভিডিওও সামনে এসেছে, যাতে লোকজনকে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে স্কুলের জানালা-দরজা ভাঙতে দেখা যায়।

Advertisment

ছাত্রদের অভিভাবকদের পাশাপাশি স্কুল প্রশাসনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুটি এফআইআর দায়ের করেছে। পুলিশ ভিডিওগুলি পরীক্ষা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে ।

যোগাযোগ করা হলে, ফাদার জেমন জোসেফ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল যার ফলে মঙ্গলবার সকালে ৫০০ জনেরও বেশি লোক স্কুলে এসে ভাংচুর চালায়। প্রায় চার ঘন্টা ধরে স্কুলে হামলা চলতে থাকে এবং আমাদের সন্দেহ এই হামলা পূর্ব পরিকল্পিত”।

Telengana