তেলেঙ্গানার শ্রীশৈলম বাঁধের পাশে ভূগর্ভস্থ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুন লাগে। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জন ইঞ্জিনিয়ারের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় সিআইডি-র অতিরিক্ত ডিজি গোবিন্দ সিংয়ের নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্র শেখর রাও। শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লাগে বলে অনুমান। দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
আগুন লাগার সময় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতর ছিলেন তেলেঙ্গানা স্টেট পাওয়ার জেনারেশন কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়াররা। রুটিন পর্যবেক্ষণের কাজ চালাচ্ছিলেন তাঁরা। সকালেই ছ'জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গোটা ঘটনার নজরদারি নিজে করছেন বলে শুক্রবার সকালে জানিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্র শেখর রাও। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার মন্ত্রী জগদীশ রেড্ডি এবং টিএস জেনকো-র সিএমডি প্রভাকর রাও। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নগড়াকুর্নুল দমকল আধিকারিক শ্রী দাসের কথা অনুযায়ী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের থেকে গত রাতে খবর পাওয়া মাত্রই পাঁচটি ইঞ্জিন দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এরপরও জরুরিভিত্তিতে ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানো হয়। রুটিন নজরদারির সময় আধিকারিকরা একতলায় ছিলেন। ভূগর্ভস্থ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাটির নীচে আরও চারটি তলা রয়েছে। মাটির তলায় প্রথমে টারবাইন, তারপরের দু'টি তলায় জেনারেটর ও বিদ্যুৎ প্যানেল এবং একেবারের শেষে রয়েছে সার্ভিস-বে।
শ্রী দাসেরর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'বিভিন্ন তলায় আটকে পড়া মানুষরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সারফেস ফ্লোরে কাউকে দেখা যায়নি। কতক্ষণ উদ্ধারকাজ চলবে তা বলা মুশকিল। আজ সন্ধ্যা বা আগামিকাল বিকেলও হয়ে যেতে পারে।' তিনি বলেন, 'সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রবেশ-প্রস্থানের পথ একটাই। আমাদের কর্মীরা সড়ঙ্গের এক কিমি পর্যন্ত যেতে পারলেও আরও পাঁচশ মিটার পথ রয়েছে। সেই জায়গা ধোঁয়ার ভর্তি। ফলে উদ্ধার কাড চালাতে অসুবিধা হচ্ছে।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাক