ফের রাশিয়া- ইউক্রেনের যুদ্ধের বলি তেলেঙ্গানার যুবক। সপ্তাহের শুরুতে হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা মহম্মদ আফসান-এর পরিবার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছিল, কীভাবে মহম্মদ আফসানকে প্রতারিত করা হয়েছিল। পরিবার সূত্রে খবর, তিনি রাশিয়ায় একটি সরকারি অফিসে হেল্পার হিসাবে চাকরির জন্য সেদেশে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে জোর করে যুদ্ধে পাঠানো হয়। এর ফলেই মৃত্যু হয়েছে বছর ৩০-এর তেলেঙ্গানার যুবক মহম্মদ আফসানের।
আফসানের ভাই মহম্মদ ইমরান দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, “যে এজেন্টের মাধ্যমে রাশিয়ায় চাকুরিতে গিয়েছিলেন আফসান তারা তাকে জানিয়েছিল তারা মস্কোতে থেকে কাজ করবে। পরিবর্তে তাদের ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে ইউক্রেনের যুদ্ধে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে তাদের যুদ্ধে রুশ সেনাদের পাশে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। আফসান ৯ নভেম্বর মস্কোর উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন"।তিনি আরও বলেন, "রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে আফসান শেষ ভিডিও কলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিল ৩১ ডিসেম্বর। আমরা কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করছি,”।
২১ ফেব্রুয়ারি, গুজরাটের বাসিন্দা হেমিল মাঙ্গুকিয়ার রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে মৃত্যু হয়। এরপরই নড়ে চড়ে বসে ভারত। কাজের প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে ভারতীয় যুবকদের ইউক্রেনের যুদ্ধের কাজে লাগানোর অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছে বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে সেই সকল আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যে রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। গতকালই সামনে এসেছে একটি নতুন ভিডিও। সাতজনের ভারতীয় দল নতুন ভিডিওতে দাবি করেছে, তাদের রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাশিয়া তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের আটক করে রেখেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে আটকে থাকা আরও সাত ভারতীয়ের একটি দল ভারতে ফিরে আসার জন্য সরকারের সাহায্য চেয়ে এই সপ্তাহে দুটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এই সাত ভারতীয়ের নাম গগনদীপ সিং, লাভপ্রীত সিং, নারায়ণ সিং, গুরপ্রীত সিং, গুরপ্রীত সিং, হর্ষ কুমার এবং অভিষেক কুমার। তাদের মধ্যে পাঁচজন পাঞ্জাবের, বাকি দুইজন হরিয়ানার বলে জানা গিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে, সাতজনকে একটি ঘরের মধ্যে সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে তাদের মধ্যে ৬ জন ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছেন এবং অন্য একজন তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলতে দেখা গিয়েছে।
গত সপ্তাহে, MEA মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন যে ‘প্রায় ২০ জন ভারতীয় রুশ সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন, তাদের উদ্ধারের জন্য ভারতীয় দূতাবাস রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন’।