Advertisment

গুজরাটে গরবায় পাথর ছোড়ার অভিযোগ, ১০ মুসলিম যুবককে গ্রেফতারের পর প্রকাশ্যে লাঠিপেটা

ঘটনায় মোট ৪৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Public flogging

প্রকাশ্যে চলছে মারধর

গুজরাটে গরবা নাচের অনুষ্ঠানে পাথর ছোড়ার অভিযোগে ধৃত ১০ জনকে আটকের পর প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করল পুলিস। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশিত হয়েছে। এই ক্লিপ গুজরাটের খেদা জেলার। সোমবার রাতে গারবার একটি অনুষ্ঠানে পাথর নিক্ষেপের অভিযোগে ওই যুবকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্লিপে দেখা গিয়েছে, ধৃতদের একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করছেন সাদা পোশাকের একদল লোক।

Advertisment

তাঁদের কোমরের বেল্টে রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। এই লাঠিপেটার সময় আশপাশে উপস্থিত জনতাকে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে। ক্লিপে উপস্থিত একজনকে ইতিমধ্যেই পুলিশকর্মী বলে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। মারধরের পর ওই যুবকদের পুলিশের ভ্যানে উঠতে নির্দেশ দেয় মারধরকারীরা। এমনটাই দেখা গিয়েছে ভিডিও ক্লিপে।

এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, মাতার তালুকের উন্ডেলা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান ইন্দ্রবদন প্যাটেল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'গরবাতে পাথর ছোড়া হয়েছিল। এই ঘটনায় মোট ৪৩ জন অভিযুক্ত। তার মধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ধৃতদের ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। যেখানে গরবা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানেই অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হয়।' ধৃতরা প্রত্যেকেই মুসলিম সম্প্রদায়ের বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিয়েছে, তবুও কেন জেলবন্দি কেরলের সাংবাদিক কাপ্পান?

ইন্দ্রবদন প্যাটেল জানিয়েছেন, তিনিই গরবার আয়োজন করেছিলেন। দুষ্কৃতীদের ছোড়া পাথরের আঘাতে তিনিও মাথায় চোট পেয়েছেন। কিন্তু, পুলিশ কি এভাবে অভিযুক্তদের মারধর করতে পারে? এই ব্যাপারে গুজরাট পুলিশের আহমেদাবাদ রেঞ্জের আইজি ভি চন্দ্রশেখর ঘটনার দায় এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমরা এখনও ভিডিওটির সত্যতা খতিয়ে দেখিনি।' খেদা জেলার পুলিশ সুপার রাজেশ গাধিয়াও এড়িয়ে গিয়েছেন দায়। তিনি 'ভিডিওটি খতিয়ে দেখবেন' বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

সোমবার রাতের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, অবশ্য মুখ খুলেছেন নাদিয়াদের ডিএসপি ভিআর বাজপেয়ী। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে বলেন, 'একদল মুসলিম যুবক মন্দিরে গারবা উদযাপন বন্ধের চেষ্টা করেছিল। তারা এই কাজে ব্যর্থ হয়ে প্রথমে পাথর ছোড়ে। পরে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা চালায়। তাদের হামলায় এক জিআরডি জওয়ান এবং এক পুলিশকর্মীও আহত হন। ঘটনায় মোট ৪৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে জনাকয়েক মহিলাও আছেন।'

Read full story in English

gujrat Muslim Arrest
Advertisment