Advertisment

ফের মাওবাদী হামলা! ছত্তিশগড়ে হতাহত বহু পুলিশকর্মী

রণকৌশল বদলেছে মাওবাদীরা, দাবি প্রশাসনের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Moist Attack

মাওবাদী হামলার পরে দান্তেওয়াড়া। প্রতীকী ছবি

ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ায় বড় আকারে হামলা চালাল মাওবাদীরা। এই হামলায় অন্ততপক্ষে ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। হামলায় এক সাধারণ নাগরিকও নিহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার এলাকায়। নিহত পুলিশকর্মীরা মাওবাদী দমন শাখা ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)-র আধিকারিক। নিহত সাধারণ নাগরিক এক গাড়িচালক বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি বিস্ফোরণের জেরে এই পুলিশকর্মীরা নিহত হয়েছেন বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisment

ঘটনার সময় দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ার অরণপুর এলাকা দিয়ে ওই পুলিশকর্মীরা যাচ্ছিলেন। এই খবর দিয়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেন, 'আমাদের কাছে এইটুকুই তথ্য আছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নিহত পুলিশকর্মীদের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন করছি। এই লড়াই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নকশালদের ক্ষমা করা হবে না।' পুলিশ সূত্রে খবর, অরণপুরে মাওবাদীরা লুকিয়ে আছে, সেই খবর গোপন সূত্রে পেয়ে পুলিশকর্মীরা অভিযান চালিয়েছিলেন। ডিআরজির একটি দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। তল্লাশির পর কিছু না-পেয়ে দলটি তার সদর কার্যালয়ে ফিরছিল। সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।

ঘটনাস্থলেই ১১ জন প্রাণ হারান। ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি রাজ্য সরকারকে যাবতীয় সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এর আগে চলতি মাসের গোড়ায় সিআরপিএফের দেওয়া তথ্যে দেখা গিয়েছিল যে মাওবাদীরা তাদের রণকৌশল বদলেছে। বেশিসংখ্যক নিরাপত্তারক্ষীর বদলে অল্পসংখ্যক রক্ষীদের ওপর হামলা চালানোর কৌশল নিয়েছে। সিআরপিএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাওবাদীরা তাদের অস্ত্রসম্ভারও বাড়িয়েছে। তা উন্নত করেছে। আর, তারা এখন আইইডি ব্যবহার করছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।

আরও পড়ুন- বাংলো সাজাতেই ৪৫ কোটি… সততা ফাঁস কেজরিওয়ালের!

এর আগে গত মাসে (মার্চ) ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় মাওবাদী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে তিন জন যৌথবাহিনীর জওয়ান প্রাণ হারিয়েছিলেন। সুকমায় সেই সময় রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। সেই রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থার লোকজনকে নিরাপত্তা দিতেই পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সেই সময় রক্ষীদের কাছে খবর এসেছিল মাওবাদীরা কুন্দেদ এবং জগরগুন্দার মধ্যে জঙ্গলে লুকিয়ে আছে। সিআরপিএফ এবং ছত্তিশগড় পুলিশের যৌথবাহিনী সেখানে তল্লাশি চালাতে যেতেই মাওবাদীরা গুলি চালাতে শুরু করে। পালটা গুলি চালান রক্ষীরাও। গুলিবিনিময় চলাকালীন তিন যৌথবাহিনীর জওয়ান প্রাণ হারান।

Maoist Chhattishgarh Naxal Attack Bhupesh Baghel
Advertisment