ছোট্ট চোখের কী জাদু! বাবার সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছিল সে। হঠাৎই তার খুদে চোখে ধরা দিল আরেক খুদে। পুরনো একটা পাইপের ভিতর থেকে মাথা বের করেছে সে। তাও আবার সারা রাত জাগার পর দিনের বেলা। 'সে' বলতে ছোট্ট পেঁচা। আর সেই খুদে পেঁচা যার নজর কাড়ল, সে তো এবারের 'ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার'। তার নাম আর্ষদীপ সিং, বয়স মাত্র ১০। এই বয়সেই তার চোখের ক্যারিশ্মা মাত করেছে বিশ্বের দরবার। ব্রিটেনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের উদ্যোগে আয়োজিত ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় এবার 'ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার' আর্ষদীপ। 'পাইপ আউলস' ছবির হাত ধরেই এই পুরস্কার জিতেছে ছোট্ট চিত্রগ্রাহক।
কীভাবে হল এই অসাধ্য সাধন? খোঁজ নিতেই জানা গেল, পাঞ্জাবের কাপুরথালা হয়ে বাবার সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছিল আর্ষদীপ। সেসময়ই রাস্তার পাশে একটা পুরনো পাইপের মধ্যে থেকে একটা খুদে পেঁচাকে দেখতে পায় সে। দেখামাত্রই বাবাকে গাড়ি থামাতে বলে গাড়ির জানলার আধখোলা কাচ দিয়েই ছবি তোলে আর্ষদীপ। এমন সময় সেই পাইপের ভিতর থেকে মুখ বের করল আরেকটি পেঁচা। ব্যস, তারপরই ক্লিক ক্লিক অ্যান্ড ক্লিক। পাঞ্জাবে পেঁচা দেখতে পাওয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু যেহেতু পেঁচা নিশাচর, তাই দিনের বেলায় তাদের দর্শনলাভ ছোট্ট আর্ষদীপের জন্য বাড়তি পাওনা।
আরও পড়ুন, ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় অপমানে আত্মঘাতী যুবক!
ফটোগ্রাফির উপর তার ঝোঁক আরও অল্প বয়স থেকে। ২০১২ সালে মাত্র ছ'বছর বয়স থেকেই ছবি তোলা শুরু করে আর্ষদীপ। তখন থেকেই ওয়াইল্ড লাইফের উপর নানা রকম ছবি তোলা শুরু করে সে। তার বাবাও নামী ওয়াল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার। বাবা রণদীপ সিংয়ের সঙ্গে তাই মাঝেমধ্যেই ঘুরে বেড়ায় ছোট্ট আর্ষদীপ। এ যেন 'বাপ কা বেটা সিপাহি কা ঘোড়া'।
এর আগেও পুরস্কার পেয়েছে আর্ষদীপ। সম্প্রতি, জুনিয়র এশিয়ান ওয়াল্ড লাইফ ফটোগ্রাফারের পুরস্কার পেয়েছে সে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে তার কাজ সমাদৃত হয়েছে। 'লোনলি প্ল্যানেট ইউকে' 'লোনলি প্ল্যানেট জার্মানি', 'লোনলি প্ল্যানেট ইন্ডিয়া', 'বিবিসি ওয়াইল্ড লাইফ ইউকে'-র মতো প্ল্যাটফর্মেও আর্ষদীপের কাজ সুনাম কুড়িয়েছে।
Read the full story here in English