Advertisment

সন্ত্রাসের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক

এই মামলায় মালিককে সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Yasin Malik

এই মামলায় মালিককে সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মহম্মদ ইয়াসিন মালিককে মঙ্গলবার দিল্লির একটি আদালত ইউএপিএ ধারায় ২০১৭ সালে সন্ত্রাসের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করল। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, কোনও আইনজীবী ছিল না মালিকের। এমনকী নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেননি মালিক।

Advertisment

মালিকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনের ধারা ১৬, ১৭, ১৮ এবং ২০-তে মামলায় দায়ের হয়েছিল। এছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি এবং ১২৪ এ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু হয়। বিশেষ বিচারক প্রবীণ সিং আগামী ১৯ মে মালিকের শাস্তি নিয়ে রায় দান করবেন। এই মামলায় মালিককে সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

এই আদালত অবশেষে কাশ্মীরের আরও অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা যেমন ফারুক আহমেদ দার, শাব্বির শাহ, মাসারত আলম, মহম্মদ ইউসুফ শাহ, আফতাব আহমেদ শাহ, আলতাফ আহমেদ শাহ, নইম খান, নাভাল কিশোর কাপুর, বশির আহমেদ ভাটদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে।

আরও পড়ুন গ্রেনেড হামলা, খালিস্তানের দাবি ঘিরে পঞ্জাবে তুঙ্গে চাপানউতোর, আপের নিশানায় বিরোধীরা

গত মার্চ মাসে চার্জগঠনের সময় আদালত প্রাথমিক তদন্তে জানায় শাব্বির শাহ, ইয়াসিন মালিক, রশিদ ইঞ্জিনিয়ার, আলতাফ ফান্টুশ, হুরিয়ত নেতৃত্ব সরাসরি সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অর্থ সংগ্রহের দোষে দোষী। এছাড়াও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, উপত্যকায় বিরাট বিক্ষোভ সমাবেশ, যার ফলে হিংসা-অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা হয়েছে। সেগুলির মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এরা।

আদালত জানিয়েছে, মালিক গোটা বিশ্বে বিশেষ কার্যপ্রণালীর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতেন। সেই টাকা দিয়ে ভূস্বর্গে হিংসা-হানাহানি, বিক্ষোভ এবং বেআইনি কার্যকলাপ করা হত। সেই অপরাধমূলক কার্যকলাপকে কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামের নাম দিয়েছিলেন ইয়াসিন মালিক।

jammu and kashmir Kashmir Militancy
Advertisment