সন্ত্রাসবাদ হল মানবাধিকার লংঘনের সবচেয়ে বড় রূপ। এমনটাই বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর দাবি, কেন্দ্র যেভাবে ভারতে সন্ত্রাসবাদের 'হুমকি' মোকাবেলা করছে তা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ত্রয়োদশ এনআইএ দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ বলেছিলেন যে,'মোদী সরকার সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জিরো-টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।' তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার ও সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তাঁর কথায়, 'জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের অর্থায়নের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলাগুলি সেখানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমনে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।'
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, "এনআইএ গঠনের পর থেকে এই তদন্তকারী সংস্থা মোট ৪০০টি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে ৩৪৯ মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ৯৩.২৫ শতাংশ।' শাহর সংযোজন, কেন্দ্র এনআইএ এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনকে শক্তিশালী করেছে। এছাড়া, বিদেশে সংগঠনিত এমন কোনও নাশকতা যেখানে ভারতীয়রা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে- সেই মামলার তদন্ত জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ করতে সমর্থ।
অমিত শাহ বলেছেন, 'যখনই সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান হয়, কিছু মানবাধিকার গোষ্ঠী মানবাধিকারের ইস্যু উত্থাপন করে থাকে। তবে আমি সর্বদা বিবেচনা করি যে, সন্ত্রাসবাদ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে বড় কারণ।' কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, 'মানবাধিকার রক্ষার জন্য সন্ত্রাসবাদকে এর শিকড় থেকে নির্মূল করা অপরিহার্য।'
নয়াদিল্লির ডক্টর আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অমিত শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি এবং নিশিথ প্রামাণিক।
Read in English