করোনা-বিধি মেনে আগেই খুলেছিল মন্দির৷ তবে সোমবার ২৩ অগাস্ট থেকে পুরীর মন্দিরের দরজা খুলে গেল দর্শনার্থীদের জন্য৷ ইতিমধ্যেই মন্দিরের সাড়ে ৩ হাজারের বেশি সেবায়েত ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের টিকাকরণ হয়েছে৷ করোনার সংক্রমণ এড়াতে শুধু সেবায়েতরাই নন, মন্দিরের সর্বোচ্চ কর্তারাও যাতে প্রতিটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন সেব্যাপারে তৎপরতা নেওয়া হচ্ছ৷ দর্শনার্থীদেরও করোনা বিধি মেনে মন্দিরে ঢুকতে হবে৷
হিন্দুদের চারটি প্রধান ধর্মীয় স্থানের মধ্যে একটি হল পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির৷ চার মাস পর সোমবার সারা দেশ থেকে আসা ভক্তদের জন্য পুরীর মন্দিরের দরজা খুলে গিয়েছে৷ শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণ কুমার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ২০২০ সালে মন্দিরের ইতিহাসে প্রথম জগন্নাথদেবকে এবং তার সহোদর বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রাকে ছাড়া বের করা হয়েছিল৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত বছরের রথযাত্রা বের করা৷’’
আরও পড়ুন- সৌন্দর্যে বাজিমাত কলকাতার শিক্ষিকার, ঝুলিতে ভারত সেরার খেতাব
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল থেকে ফের বন্ধ হয়ে গিয়ছিল পুরীর মন্দির৷ তবে সম্প্রতি ওড়িশার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ সেই আলোচনার পরেই ওড়িশার ধর্মীয় স্থানগুলি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন৷ করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আগে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রতিদিন প্রায় ৫০,০০০ দর্শনার্থী ঢুকতেন৷ মন্দিরের এর প্রধান পুরোহিত জনার্দন পট্টজোশি মহাপাত্র বলেন, ৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিরতি ছাড়াই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।
করোনার সংক্রমণ এড়াতে চলতি বছরেও ভক্ত সমাগম ছাড়াই পুরীতে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তবে প্রশাসন সজাগ থাকায় সংক্রমণ এড়িয়ে রথযাত্রার আয়োজন করা গিয়েছে৷ রথযাত্রার আগে প্রায় ১২ হাজার মানুষের RT-PCR টেস্ট করানো হয়েছে৷ প্রায় ৫ হাজার পুলিশকর্মীরও এই পরীক্ষা হয়েছে৷ রথযাত্রার দিনে করোনা এড়াতে গোটা পুরীতে বাইরের মানুষের ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল৷ আজ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে গেলেও প্রত্যেকে মানতে হবে করোনা বিধি৷ মুখে মাস্ক ছাড়া কারও মন্দিরে ঢোকার অনুমতি নেই৷ দূরত্ব বিধি মেনে মন্দিরে ঢুকতে হবে দর্শনার্থীদের৷
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন