মহারাষ্ট্র-কর্নাটক সীমানা বিরোধ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে বিধানসভা। বিরোধীরা মহারাষ্ট্র-কর্নাটক সীমানা ইস্যুতে সংসদে সুনির্দিষ্ট আলোচনার দাবি করছে। এই সময়ে উদ্ধব ঠাকরে দাবি করেছেন যে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের মধ্যে বিতর্কিত সীমানা এলাকাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করার। এজন্য একটি প্রস্তাব পাসের কথাও বলেন তিনি। বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনাও করেন তিনি।
কর্ণাটকের সঙ্গে চলমান আন্তঃরাজ্য সীমানা বিরোধের মধ্যে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সোমবার দাবি করেছেন যে বিতর্কিত এলাকাটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা উচিত। তিনি আরও বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে রায় না দেওয়া পর্যন্ত এই বিধান অনুসরণ করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট বর্তমানে কর্ণাটক- মহারাষ্ট্রের সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি করছে'।
তিনি আরও বলেন, "যদিও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সীমানা নিয়ে আক্রমনাত্মক অবস্থান নিচ্ছেন, যেখানে মহারাষ্ট্র সরকার নীরব। যতক্ষণ না বেলগাভি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত না নিচ্ছে বিতর্কিত এলাকাটিকে 'কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল' হিসাবে ঘোষণা করা উচিত। বিধানসভায় পাস হওয়া প্রস্তাবে এটি তুলে ধরা উচিত বলেই দাবি করেন তিনি। মহাবিকাশ আঘাদি দলের নেতা, অজিত পাওয়ার আগেই বলেছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেরও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাইয়ের মতো আক্রমণাত্মক অবস্থান নেওয়া উচিত"।
উত্তরে উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস বলেছেন, "যে কোনও পরিস্থিতিতে, সীমানায় মারাঠি ভাষী মানুষদের পাশ থেকে সরে দাঁড়াব না। প্রতি ইঞ্চি জমির জন্য লড়াই করব তা সুপ্রিম কোর্ট হোক অথবা সংসদে। আমরা লড়াই করব। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র পিছপা হবে না।"
সোমবার বিধানসভায় মহারাষ্ট্র-কর্নাটক সীমানা নিয়ে প্রস্তাবিত বিল আনতে দেরি হওয়ায় শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে দাবি করেছিলেন যে কেন্দ্র বিতর্কিত সীমানা এলাকাটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করুক। তিনি বলেন "আমরা কর্ণাটকের এক ইঞ্চি জমি চাই না, কিন্তু আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই… কর্ণাটক-অধিকৃত-মহারাষ্ট্রকে 'কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করার দাবিও জানান তিনি। উদ্ধব ঠাকরে বলেন, এই দাবি অবিলম্বে কেন্দ্রের কাছে পাঠানো উচিত।"
উদ্ধব ঠাকরে দাবি করেছেন যে আদালতের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিতর্কিত সীমানা এলাকাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা উচিত। তিনি বলেন কর্ণাটক সরকার সীমানা ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নিচ্ছে। কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কি সীমান্ত ইস্যু নিয়ে কী অবস্থান নিচ্ছেন? সীমানা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার কী দরকার ছিল? উল্লেখ্য দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন তিনি। সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মহারাষ্ট্রে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।