Brahmos Test Firing: ভারতের ব্রহ্মপুত্র আর রাশিয়ার মস্কোভা নদী মিলে নামকরণ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস। দুরপাল্লার এই মিসাইল ৩০০ কিমি পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।কিন্তু সোমবার বালাসোরে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময় ভেঙে পড়ে এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চলছিল। ৪৫০ কিমি দুরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম কিনা, সেটাই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু সমুদ্রতট থেকে উৎক্ষেপণের পরেই ভেঙে পড়ে সেই মিসাইল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এই খবর দেওয়া হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র বলছে, ‘সোমবার বালাসোরের সমুদ্রোপকূল থেকে উৎক্ষপণের পরপরই ভেঙে পড়েছে ব্রহ্মস। কেন এই দুর্ঘটনা, এখনও জানা যায়নি। কারণ অনুসন্ধানে ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন এবং ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞদল গড়া হয়েছে। তাঁরাই ব্রহ্মসের ভেঙে পড়ার কারণ খুঁজে বার করবেন।” ব্রহ্মসের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ এর আগে হলেও, উৎক্ষেপণের সময় ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেনি। অনুমান, মিসাইলের প্রোপালসন ব্যবস্থার গলদই এই দুর্ঘটনার কারণ। তবে সঠিক কারণ সেই বিশেষজ্ঞ কমিটি খুঁজে বের করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে।
এর আগে সুপারসোনিক ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মসের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছিল ৩০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত। সেই উৎক্ষেপণ সফল হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মস। নৌবাহিনীর জাহাজ, বায়ুসেনার বিমান কিংবা ভূমি কামান, যেকোনও মাধ্যম থেকে সহজের উৎক্ষেপণ করা যায় এই মিসাইল। সীমান্তবর্তী এলাকায় পড়শি দেশের চোখরাঙানির সঙ্গে পাল্লা দিতে এই মিসাইল কার্যকরী। চিনের লাল ফৌজ হোক কিংবা পাকিস্তানের সেনা, এই দুই পড়শি দেশের সমরাস্ত্রের ওপর আঘাত হানতে ব্রহ্মসের জুড়ি মেলা ভার। এমনটাই দাবি করেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন